|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : অন্যান্য জেলার মতো নদিয়া জেলায়ও পালন করা হল জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। পুষ্টিকর খাবার খেতে চিকিৎসকেরা সবসময় আমাদের উপদেশ দেন। বিভিন্ন খাবারে রয়েছে বিভিন্ন উপাদান। কোনও খাবারে থাকে প্রোটিন বেশি কোনও খাবারে ফ্যাট বেশি থাকে, কোনও খাবারে থাকে ভালো আয়রন আবার কোনও খাবারে থাকে খনিজ পদার্থ। কোন বয়সের মানুষের কি পরিমান কি কি খাবার খাওয়া উচিত তার সঠিক জ্ঞান আমাদের দেন চিকিৎসক কিংবা ডায়েটিশিয়ানরা। তবে চিকিৎসকের কাছ থেকে ডায়েট চার্ট নিয়ে খাওয়া দাওয়া করা রীতিমত খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার।আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষ কিংবা মধ্যবিত্ত মানুষদের ক্ষেত্রে অনেক সময় পয়সার জন্য তারা সঠিক খাবারের উপদেশ পাননা। প্রসূতি বা বলা যেতে পারে গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে সঠিক খাওয়ার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তবেই সেই মায়ের শিশু সঠিক পুষ্টি পাবে। প্রসূতি মায়েদের এবং তাদের সদ্যোজাত শিশুদের সঠিক পুষ্টিকর খাবারের বিষয়ে বিশেষ উপদেশ দেওয়া হয় এই জাতীয় পুষ্টিকর দিবস সপ্তাহে।নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ আইসিডিএস এর নেতৃত্বে একাধিক প্রসূতি মায়েদের নিয়ে এই জাতীয় পুষ্টিকর দিবস পালন করা হল। এদিন উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি বাবিন মুখার্জি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অশোক হালদার ছাড়াও একাধিক বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দরাও। প্রসূতি মায়েদের এদিন বোঝানো হয় যে শুধুমাত্র মাছ মাংস, ডিমকেই পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ধরা হয় না।মাছ, মাংস, ডিম ছাড়াও বিভিন্ন রকম সবুজ শাকসবজি, ফলমূল শস্য ইত্যাদি খাবারেও থাকে একাধিক পুষ্টি। এই সমস্ত পুষ্টিকর খাবার খেলে শিশু এবং তার মায়েরা সঠিক পুষ্টি গুন লাভ করতে পারে বলে জানান তারা। জাতীয় পুষ্টিকর সপ্তাহ উপলক্ষে আশা করা যাচ্ছে আগামী দিনে প্রসূতি মায়েরা তাদের সদ্যোজাত শিশু ও তাদের স্বাস্থ্যের সম্পর্কে আরও সচেতনতা লাভ করবেন।