|
---|
অতনু ঘোষ,নতুন গতি, পূর্ব বর্ধমান :আর পাঁচটা মেয়ের মতোই স্বামী সংসার নিয়ে সুখে ঘর করার ইচ্ছা ছিল তার | কিন্তু মাত্র একুশেই ঝরে গেল
একটি ফুটফুটে জীবন |
কালনার নন্দগ্রাম এলাকার মেয়ে বছর একুশের মাম্পি হালদারের বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় কৃষ্ণদেবপুর রাজবংশী পাড়া নবদ্দীপ হালদারের সাথে |
বিয়ের ছমাস যেতে না যেতেই মাম্পির জীবনে নেমে আসে কালো অন্ধকার | স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পনের জন্য চাপ দিতে থাকে তার ওপর |
প্রথমদিকে শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো জিনিসপত্র দিলেও | ক্রমশ তাদের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে | কিন্তু শেষের দিকে চাহিদার মাত্রা এতই বেড়ে যায় যে, তা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না মাম্পির পরিবারের | ফলে মাম্পির উপর নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার | এরপর মাম্পিকে বাধ্য হয়ে চলে আসতে হয় বাপের বাড়ি
| শ্বশুরবাড়ির যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মাম্পি, এমনটাই দাবি করেছেন তার পরিবার | তবে মৃত্যুর আগে মাম্পি তার শেষ কথা গুলো লিখে রেখে গেছে এক টুকরো কাগজে |
খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে তদন্ত করছে |
শ্বশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার বাবা |
তবে এই ঘটনার পর থেকে টুম্পার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে |
আকস্মিক ঘটনা এলাকার মানুষ শোকোস্তব্ধ তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ||