|
---|
হরিশ্চন্দ্রপুর,মহ:নাজিম আক্তার: হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির মহেন্দ্রপুর গ্রামে করোনা পজিটিভ ছয় জনের পরিবারে আতঙ্কের পাশাপাশি শুরু হয়েছে অভাব-অনটন। সরকারি নির্দেশিকা মেনে পরিবারের লোকেরা গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে। সঞ্চিত অর্থ শেষ হয়ে গেছে কবেই।রেশন কার্ড থাকলেও রেশন সামগ্রী নিয়ে আসতে পারছেন না এই করোনা সংকটময় পরিস্থিতিতে।
রবিবার এই আতঙ্কিত অভাবী পরিবারগুলির হাতে চাল,ডাল,সাবান, সোয়াবিন ও স্যানিটাইজার সহ প্রভৃতি খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন মালদা জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কল্যান দপতরের কর্মাধক্ষ্য মার্জিনা খাতুন।
মার্জিনা খাতুন জানান, মালদা জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহেন্দ্রপুর গ্রামটিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।তাই লকডাউনকে মান্যতা দিয়ে মহেন্দ্রপুর গ্রামটিতে যেতে না পারলেও এলাকার স্থানীয় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের হাত দিয়ে এদিন খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেন বলে জানান।
তিনি আরো জানান,লকডাউন বাড়লে পরবর্তী সময়ে তাদেরকে আরো সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
মহেন্দ্রপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আসপাক হোসেন বলেন,” এই ধরনের মহৎ কাজের জন্য মার্জিনা খাতুনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।এর আগেও কয়েকজন নেতা তাদের পরিবারগুলিকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছে। কিন্তু চাল,ডাল দিয়ে সাহায্য করলেও তাদের পরিবার যে অর্থশূণ্য হয়ে পরেছে তা কেউ ভাবেনি। এদিন মার্জিনা খাতুন তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কিছু অর্থ দিয়েও সাহায্য করেন।
আরো এক স্থানীয় বাসিন্দা সামদানি সারওয়ার বলেন,”আমরা দেখে আসছি মার্জিনা খাতুন লকডাউন পিরিয়ডের আগে থেকেও এলাকার দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আজ মহেন্দ্রপুর গ্রামে আসতে না পারলেও আমাদের হাত দিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও কিছু অর্থ দিয়ে পরিবারগুলিকে সাহায্য করলেন।”