কেকে র জন্মদিন উৎসর্গ হল মহতী রক্তদানের মাধ্যমে

নতুন গতি প্রতিবেদক : কৃষ্ণকুমার কুন্নথ একজন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, যিনি কেকে নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি হিন্দি, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড়, মারাঠি, গুজরাতি ও তামিল সহ বহু ভাষায় গান গেয়েছেন। তাঁর শ্রুতিমধুর কণ্ঠ ও কণ্ঠের বৈচিত্রতার জন্য তাঁকে ভারতের অন্যতম বৈচিত্রপূর্ণ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গণ্য করা হয়। আজ ২৩শে আগস্ট মহান শিল্পীর জন্মদিবসের স্মরণে নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কামালগাজীতে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় এস এস কে এম হসপিটাল ব্লাড সেন্টারের সহায়তায়। এদিনে প্রায় ৪০জন রক্ত দাতা রক্ত দান করেন। প্রথম বারের রক্তদাতা ৭জন। রক্তদাতাদের ব্যাচ, মানপত্র ও মেমেনটো দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। এদিনে মহিলা রক্ত দাতাদের উৎস ছিল চোখে পড়ারমতো।

    সম্ভব ফাউন্ডেশন, হাসিমুখ, স্বপ্ন সাথী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, স্বর্ণদীপ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, লায়ন্স ম্যাগনেটস, দেবোমিত এবং টিম এই ৬টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে, হৃদয়স্পর্শী সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ এর জন্মদিবসের স্মরণে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন শ্রী সৌম্য সান্ত পাহাড়ী (ডি ওই এস পি ট্রফিক,বারুইপুর), শ্রী সঞ্জীব চক্রবর্তী (আই সি সোনারপুর), শ্রীমতী ফিরদৌসি বেগম (বিধায়ক,সোনারপুর উত্তর) এছাড়াও বিশিষ্ট সমাজসেবীগণ।

    উদ্যোক্তাদের মধ্যে অসীমা, দেবোমিত জানান, আমরা কে কে র জন্মদিনকে উপলক্ষ্য করে কেক কেটে আমাদের রক্তদান শিবির শুরু করি। তিনিতো এতদিন আমাদের উপহার দিয়েছেন, এবার আমাদের রিটার্ন গিফট দেবার পালা। তাঁর বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করি।
    শ্রীকান্ত, সমীন্দ্ররা বলেন, সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা পূর্ণ করার লক্ষ্যে আমরা কিছুটা চেষ্টা করেছি মাত্র। আমরাতো উন্নয়নশীল দেশ, আমাদের চারপাশে নাচ গানের অনুষ্ঠান প্রায়শই হয় কিন্তু এই রক্ত দান অর্থাৎ জীবন দানের অনুষ্ঠান একটু কমই হয়। তাই আমাদের এই বিশেষ ভাবনা।
    এদিকে জাহির আর দেবাশিশ এর কথায় উঠেএলো, ব্লাড সেন্টার গুলোর রক্ত শূন্যতার কথা। একই সঙ্গে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের কথা আমাদের ভুললে চলবে না। আমরা চাইলে আজ গানের অনুষ্ঠানও করতে পারতাম তবে আমরা ব্যাতিক্রমটাই ভাবলাম। জাহির আরও বলেন, রক্তের উৎস একমাত্র মানুষ। তাই ছোট ছোট হোক শিবির চালিয়ে যেতে হবে। সকলের কাছে আবেদন সামনে পুজোর কারণে শিবিবের সংখ্যা যাতে না কমে সেই দিকেও আমদের লক্ষ্য রাখতে হবে। স্বেচ্ছায় রক্তদানে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে। স্বেচ্ছায় রক্তদান হোক উপহার ছাড়া।