|
---|
উজির আলী,নতুনগতি: রাস্তার দুপাশে পোশাকের দোকান, জুতোর দোকান, সেলুন থেকে শুরু করে প্রায় সবরকমের দোকানই খোলা। কেনাকাটায় কোনও সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। ভিড়ে থিকথিক বাজারে ভিড় ঠেলে সামনে এগনো দায়। একই অবস্থা দৈনিক বাজার, পাইকারি কৃষক বাজারেরও।
হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে মেলা। ওই ভিড়ে বাসিন্দাদের পাশাপাশি রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বাজার করতে দেখা গেল সোমবার পুলিশকর্মীদেরও। কে বলবে লকডাউন চলছে। তাহলে কি লকডাউন উঠে গিয়েছে মালদহের চাঁচলে!
বাজার করতে আসা পুলিশকর্মীকে উদ্দেশ্য করে এক উদ্বিগ্ন বাসিন্দা প্রশ্ন করতেই কোনও উত্তর না দিয়ে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে গেলেন ওই পুলিশকর্মী। লাগোয়া হরিশ্চন্দ্রপুরে ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেও গত তিনদিন ধরে চাঁচলে যেভাবে বাজার থেকে রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শহরবাসী।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করে প্রতিবাদের ঝড় বইতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ী সমিতি ও প্রশাসনই এজন্য দায়ি বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু বাজারের পরিস্থিতি অন্য কথা বলছে। সোমবার বাজারে ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করার সময় এক বাসিন্দাকে প্রশ্ন করতে তিনিই উল্টে ঝাঁঝিয়ে উঠলেন। বললেন, হরিশ্চন্দ্রপুরে সব বন্ধ। শুনেছিলাম, চাঁচলে দোকান খোলা। তাই এসেছি। কিন্তু এ তো মনে হচ্ছে মেলা বসেছে। বাজারের এক ফল বিক্রেতা বলেন, যেভাবে দোকানে এসে ক্রেতারা কার্যত হামলে পড়ছেন তাতে আর দোকান খোলা রাখা যাবে না।
কিন্তু লকডাউনের মধ্যে কেন এমন পরিস্থিতি হল চাঁচলে।তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন সব মহলে?
এপ্রসঙ্গে ব্লক প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে আসেননি চাঁচল ১ নং ব্লকের বিডিও।