জল অপচয় বন্ধের দাবিতে প্রচারে সুন্দরবনের ১০০ দিনের দীনমজুররা

জল অপচয় বন্ধের দাবিতে প্রচারে সুন্দরবনের ১০০ দিনের দীনমজুররা

     

     

     

    সাকিব হাসান, ক্যানিং : গরম পড়তে না পড়তেই দঃ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনে শুরু হয়েছে তীব্র জলের সংকট। গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নলকূপ থেকে জল ওঠা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার পুকুরের জলও শুকোতে শুরু করেছে। চরম সমস্যায় পড়েছেন সুন্দরবনের নদী সংলগ্ন এলাকার সমস্ত বাসিন্দারা।

     

    সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় নেই। ভোটের আশায় নানান প্রতিশ্রুতির কথা শুনেই চলেছেন গ্রামবাসীরা। এদিকে পানীয়জল না মেলায় ভোটাররা রাগে গুমরে গুমরে ফুঁসছেন।

     

    সাধারণ মানুষের জল কষ্টের কথা শুনে ব্যথিত হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং-১ ব্লকের নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা গ্রাম প্রধান তাপসী সাঁফুই। মঙ্গলবার থেকে তিনি নিজের গ্রামে সপ্তাহ ব্যাপী ‘পানীয়জল সংরক্ষণ অভিযান’ শুরু করেছেন। গ্রামের বিভিন্ন সংসদের ‘একশো দিনের কর্মী’দের নিয়ে এই জল সংরক্ষণ অভিযান শুরু চলছে। অভিযানের প্রথম দিন সামিল হয়ে ছিলেন ক্যানিং-১ ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর দাস সহ এলাকার বিশিষ্ঠজনেরা।

     

     

    বিডিও শুভঙ্কর দাস জানিয়েছেন ‘এখন নতুন করে নলকূপ বসালেও জল পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যতটুকু জল পাওয়া যাচ্ছে তা যেন অপচয় না করেন। এছাড়াও একান্ত বাধ্য হয়ে কেউ পুকুরের জল পানীয় হিসাবে বা অন্য কাজে ব্যবহার করতে চায় তবে তা যেন অতি অবশ্যই আগুনে ফুটিয়ে নেন। তবে যে সমস্ত এলাকায় পানীয় জল একেবারেই মিলছে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

     

     

    গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান তাপসী সাঁফুই বলেন ‘মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা মতো আমরা পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়িবাড়ি পানীয়জল পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। কাজ চলছে জোর কদমে। ইতিমধ্যে বহু বাড়িতে পাইপ লাইন পৌছে গিয়েছে। তবু্ও আমরা একশো দিনের শ্রমিকদের নিয়ে প্রভারাভিযান চালাচ্ছি।

     

    অন্যদিকে নিকারীঘাটা,গোপালপুর,দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন “পানীয় জলের সংকট চলছে। খাল বিল পুকুর প্রায় শুকনো হয়ে গিয়েছে। পানীয় জল আনতে এক দু কিলোমিটার পথ যেতে হচ্ছে। পাইপ লাইনে জল নেই। তারপর যেখানে জল নেই সেখানে ঘটা করে জল সংরক্ষণ করার প্রচার যেন হাস্যকর ব্যাপার।