|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: কার্যকরী হবে কি টিকা? মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে কতটা সক্ষম টিকা? দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হতেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। টিকা নিয়ে ছড়িয়েছিল একাধিক গুজবও। তবে এবার সব গুজব এবং শঙ্কায় জল ঢাললেন ১২৫ বছর বয়সী ‘যুবক।’ করোনাকালে আশার আলো দেখাচ্ছেন বারাণসীর বাসিন্দা স্বামী শিবানন্দ।
বুধবার নিকটবর্তী টিকাকরণ কেন্দ্রে যান ওই ব্যক্তি। নিয়ম মেনে জমা দেন আধার কার্ড। আর তা হাতে নিয়েই চক্ষু চড়কগাছ স্বাস্থ্যকর্মীর। আধার কার্ডে জন্ম তারিখ লেখা ৮ অগাস্ট ১৮৯৬। অর্থাৎ বয়স ১২৫! যা দেখে টিকাকরণ করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয় স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যেও। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় শিবানন্দ। স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি টিকা নেবেন। শেষমেশ ওই ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রেই টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি।
শিবানন্দ বারাণসীর ভেলুপুর এলাকার কবীর নগর কলোনির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে একাই তিনি ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর নিয়ম মেনে টিকা নেন তিনি। শুধু একা গিয়ে টিকা নেওয়াই নয়, শিবানন্দ একাই সব কাজ করে থাকেন। ১২৫ বছর বয়সেও কর্মঠ থাকার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কোন রহস্য? স্বামী শিবানন্দ জানান, সাধারণ খাওয়া দাওয়াই-র জন্য এখনও কর্মঠ তিনি। সব কাজই করতে পারেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতিদিন ভোরে ৩টে নাগাদ ঘুম থেকে উঠি। গঙ্গায় স্নান করি। এরপর যোগব্যায়াম করি। তেল এবং মশলা ছাড়া খাওয়া দাওয়া করি প্রতিদিন। অত্যন্ত গরিব পরিবারে বড় হয়েছি। কোনওদিনই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারিনি। প্রতিদিন যা খাবার খাওয়া উচিত তার অর্ধেক খাই আমি। পরিবার সূত্রে খবর, খাওয়া দাওয়া নিয়ে খুব সচেতন স্বামী শিবানন্দ। এখনও সব কাজ একা করেন। পরিবারের কোনও সদস্যের থেকে সাহায্য নেন না তিনি। ঠিক একইভাবে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন না বলে আশাবাদী শিবানন্দ।