রোয়ান্ডার রাজধানী কিগালি শহরের রান্না ঘর থেকে উদ্ধার ১৪টি দেহ ! অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা : ডাকাতি এবং ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩৪ বছরের যুবককে। যদিও তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। তবে তদন্ত জারি ছিল। আর সেই তদন্ত করতে গিয়েই যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দুঁদে পুলিশকর্মীরাও হতবাক হয়ে গেছেন। অভিযুক্তের বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্তত ১৪টি দেহ (14 bodies found in kitchen), যার মধ্যে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই রয়েছে!

    ঘটনাটি রোয়ান্ডার রাজধানী কিগালি শহরের (Rwanda serial killer)। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ১০ জনের দেহ পাওয়া গেলেও রোয়ান্ডা ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া দেহের সংখ্যা আসলে ১৪টি। সূত্রের খবর, মৃতরা প্রায় প্রত্যেকেই পেশায় যৌনকর্মী ছিলেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে ধর্ষণ এবং ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক যুবককে। পরে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে জামিনে মুক্তি পায় সে। কিন্তু তাকে জেল থেকে ছেড়ে দিলেও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। এরপর মঙ্গলবার ফের তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তল্লাশি চালানো হয় অভিযুক্তের বাড়িতে। তাতেই এই ভয়াবহ সিরিয়াল কিলিংয়ের পর্দাফাঁস হয়।

    সূত্রের খবর, বাড়ির রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে বিশালাকার গর্ত বানিয়ে রেখেছিল অভিযুক্ত। সেখানেই একের পর এক খুন করে দেহ পুঁতে দিত সে। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। সে জানিয়েছে, বিখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের কাহিনি পড়ে এবং ওয়েব সিরিজ দেখেই খুনের পদ্ধতি শিখেছিল সে। এমনকী, কয়েকজনকে খুনের পর অ্যাসিড ঢেলে দেহগুলি গলিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত। (Rwanda serial killer)

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খুনের আগে ‘টার্গেট’কে বেশ কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করত ওই যুবক। বিভিন্ন বার, পাব, রেস্তোরাঁ থেকে বেছে বেছে এমন লোকজনের সঙ্গে আলাপ জমাত সে, যাঁদের খোঁজ করার মতো কাছের মানুষ নেই তেমন। আলাপের পর তাঁদের প্রলুব্ধ করে নিজের বাড়িতে ডেকে আনত সে। তারপর তাঁদের টাকা, মোবাইল, গয়না এবং অন্যান্য দামি জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহগুলি পুঁতে দিত গর্তের মধ্যে।

     

    জেরার মুখে সমস্ত কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তার হাতে খুন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।