১৫ দিনের মধ্যে আনিস হত্যার দোষীদের চিহ্নিত না করলে কোলকাতায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক কামরুজ্জামানের

নিজস্ব সংবাদদাতা : ১মার্চ, মঙ্গলবার, পূর্ব বর্ধমানের সেহারা বাজারে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ছাত্র নেতা আনিস হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সভায় উপস্থিত হয়ে বলেন আমরা আনিস খানের হত্যার একদিন পরেই রবিবার আনিসের গ্রামে গিয়েছিলাম, তাঁর শোকাহত বাবার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছিলাম এটা একটি পরিকল্পিত খুন। আমরা সেদিন আমতা থানার ওসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। সেদিন ওসি ঘটনার সঙ্গে পুলিশের যোগ নিয়ে পুরোটাই অস্বীকার করেছিলেন। পরবর্তীতে আমরা আনিস খানের হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গঠিত হয় সিট, আনিস খুনে পুলিশ যোগ স্পষ্ট হয়। দুজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড ও দুজন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করে আমতা থানার ওসিকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    মহঃ কামরুজ্জামান আরও বলেন সরকার বলেছেন ১৫ দিনের মধ্যে সিট এই তদন্ত শেষ করে দোষীদের চিহ্নিত করা হবে। আজ আনিস খানের হত্যার ১১ দিন পার হয়েছে, গতকাল আনিস খানের লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত হয়েছে। মানুষের কাছে পরিষ্কার আনিস হত্যার সঙ্গে রাঘব বোয়ালরা জড়িত। ১৫ দিনের মধ্যে যদি সরকার রাঘব বোয়ালদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় না আনে তাহলে ১৫ দিন পার হলেই আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

    প্রসঙ্গত সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন ইতিপূর্বে কোলকাতার রাজপথে আনিস খুনে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। এদিন কর্ণাটকের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে হিজাব অবমাননার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

    এদিনের প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সফিকুল ইসলাম দুলাল, বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সম্পাদক শিক্ষক আলি আকবর, জসিমউদ্দিন মোল্লা সহ বিশিষ্টজনেরা।