মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি যশোর জেলার কেশবপুরে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। মহাকবির জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জন্মভিটা সাগরদাঁড়িতে ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা। শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় যশোরের জেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করেছে।

    মাইকেল মধুসূদন দত্তের পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত, মায়ের নাম জাহ্নবী দেবী। শৈশবে সাগরদাঁড়ির পাশে শেখপুরা গ্রামের মৌলভী খন্দকার মখমল সাহেবের কাছে বাংলা ও ফার্সি শিক্ষা লাভ করেন তিনি।

    বাংলা ভাষায় প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মধুসূদন দত্ত। ১৮৫৮ সালে ‘শর্মিষ্ঠা নাটক’ লিখে বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চা শুরু করেন ও নাট্যান্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

    মধুসূদন রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে- মেঘনাদবধ কাব্য, নাটক ‘শর্মিষ্ঠা’ ও ‘পদ্মাবতী ,‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’, ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য কেপটিভ লেডি’, ‘দ্য এ্যাংলো সেক্সন এ্যান্ড দ্য হিন্দু’। মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন বেলা ২টায় মৃত্যুবরণ করেন।

    ১৯৭৩ সাল থেকে মধুসূদন দত্তের জন্মভিটা সাগরদাঁড়িতে তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য (যশোর-৬) ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে তার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধুমেলার ২২ জানুয়ারির উদ্বোধনী দিনের সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়।

    মধু কবির জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূসরাত জাহান বলেন, মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মধু মেলায় প্রতিদিনই এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার হাজার-হাজার মানুষ সাগরদাঁড়িতে আসছেন।
    মেলার আয়োজকরা জানান, মধুমেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন ও মধুসূদন একাডেমি সাগরদাঁড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
    সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম জানান, মেলায় সার্কাস, নাগরদোলা, যাদু প্রদর্শনী, যাত্রাপালাসহ নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।