ময়ূরাক্ষী নদীতে  স্নান করতে গিয়ে একসঙ্গে তলিয়ে  গেলেন ২ যুবক

নিজস্ব সংবাদদাতা : ময়ূরাক্ষী নদীতে  স্নান করতে গিয়ে একসঙ্গে তলিয়ে  গেলেন ২ যুবক। সাঁইথিয়া (sainthia) থানার অন্তর্গত দেরিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈদ্য়পুর গ্রামের ঘটনা। বিপর্যয়ের খবরে অশনি সঙ্কেত দেখছেন গ্রামবাসীরা। আজ সকাল থেকেই ডুবুরি নামিয়ে দুজনের তল্লাশি করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, গত কাল পাঁচ বন্ধু মিলে বৈদ্যপুর গ্রামের একটি লিচুবাগানে বসে মদ্যপান করেন। তার পর হঠাতই ময়ূরাক্ষী নদীতে স্নান করতে নামেন এক জন। তখনই বিপর্যয়। তাঁকে তলিয়ে যেতে দেখে সম্ভবত আর এক বন্ধু এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তিনিও জলের তোড়ে টাল সামলাতে পারেননি। তলিয়ে যান তিনিও। ২ জনেরই খোঁজ চলছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই পাঁচ যুবকের প্রত্যেকেই একটি ইস্পাত রড সংস্থার কর্মী। গত কাল বিকেলে লিচু বাগানে আড্ডা মারতে এসেছিলেন তাঁরা। তার পরই বিপত্তি। ময়ূরাক্ষীতে দুর্ঘটনার খবর অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বীরভূমের সাঁইথিয়াতেই একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ময়ূরাক্ষীর জলে পড়ে যায়। ঘটনাটি যখন ঘটেছিল, তখন গভীর রাত। তবে অ্যাম্বুল্যান্সটি খালি থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলে। অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ফেরার হয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সটিকে তাড়া করছিলেন কয়েকজন বাইক আরোহী। গতি বাড়িয়ে পালানোর সময় অ্যাম্বুল্যান্সের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। সেটি ময়ূরাক্ষী নদীতে পড়ে যায়। শুধু ময়ূরাক্ষী নয়, বার বার একাধিক দুর্ঘটনার জেরে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে দামোদরও। গত শুক্রবারই যেমন বন্ধুদের সঙ্গে দামোদরের চড়ে ঘুরতে গিয়েছিল ১৭ বছরের সৌরশুভ্র সাঁই। কিন্তু সেখানেই মর্মান্তিক অঘটন। নদীর জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের। তার বাড়ি বর্ধমান শহরের কালনাগেট জামতলা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছিল খণ্ডঘোষের গৈতানপুর এলাকায়। শনিবার তার দেহ উদ্ধার হয়। কেন বার বার একাধিক নদ-নদীর জলে অঘটন ঘটেই চলেছে? নদীতে নামা নিয়ে কি আরও বেশি কড়াকড়ি করা উচিত প্রশাসনের? একটু বেশি নজরদারি কি প্রাণ বাঁচাতে পারত আরও কয়েক জনের? এই ধরনের ঘটনা ঘটলেই বার বার ঘুরেফিরে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে প্রশ্নগুলি। উত্তর অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
কবে স্পষ্ট হবে, তারই অপেক্ষায় বাসিন্দারা।