|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম:
বিয়ে বাড়ির ভোজ নয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের মেনুতে এবার ২৪টি পদ দিয়ে খাবার খেল ক্ষুদে পড়ুয়ারা।
শুনতে অবাক মনে হলেও রাজনগরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে মেনুতে ভাত, ডাল, বিভিন্ন রকম সবজি, দই, মিষ্টি কাটলেট, ফ্রুটি, আইসক্রিম সহ কোথাও ১০-১২টি কোথাও বা ২৪ টি পদ দিয়ে দুপুরের মিড ডে মিলের আহার সারল ক্ষুদে পড়ুয়ারা।
সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের সাধারণত ডাল,ভাত, সবজির সাথে দুই এক দিন সেদ্ধ ডিম খাওয়ানো হয়।
কিন্তু এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এইসব খুদে পড়ুয়াদের মুখের স্বাদ পাল্টাতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল রাজনগর ব্লক প্রশাসন।
রাজনগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নিজেরা বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটু আলাদা করে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করতে পারবেন কিনা।
যেখানে শুধুমাত্র সবজি ভাত দিয়ে তারা মিড ডে মিলের আহার সারে, সেখানে তাদের পাতে একটু বেশি করে বিভিন্ন ধরনের পদ সাজিয়ে আহারের ব্যবস্থা করা এবং ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যারা ছাত্রছাত্রীদের জন্য যেসব বিদ্যালয় এসব ব্যবস্থা করতে পারবে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধনা বা পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা করা হবে। একশোর বেশি ছাত্র-ছাত্রী আছে এমন এইসব বিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে একটি মিড ডে মিলের আহারের প্রতিযোগিতা করা হল। যেখানে রাজনগর ব্লকের পাঁচটি অঞ্চলের ১৮ টি বিদ্যালয় এই বিশেষ মিড ডে মিল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
রাজনগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুগ্ম-বিডিও মহম্মদ কাসিদ হোসেন ও মিড ডে মিল বিভাগের রবিউল আবসার সহ অন্যান্যরা মিড ডে মিলের খাবার দেখতে বিদ্যালয়গুলি পরিদর্শন করেন।
রাজনগর চক্রের বড়বাজার, খাসবাজার, নাকাশ, তাঁতিপাড়া, গাংমুড়ি, মাধাইপুর প্রভৃতি গ্রামের বিদ্যালয় সহ ১৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে এদিন মিড ডে মিলের আহারে নতুন কিছু আইটেম সহ ১০-১২টি, কোথাও বা ২৪ টি পদ দিয়ে মহাআনন্দে খাবার খেল এইসব খুদে পড়ুয়ারা। জন্মদিন, অন্নপ্রাশন, বিয়ে বাড়ির ভোজের মতোই এদিন খাবার খেল ছাত্র-ছাত্রীরা।
বড়বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাউয়ের পায়েস সহ ১০ টি পদ, আবার খাসবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৪ টি পদ দিয়ে খাবার খেল খুদে পড়ুয়ারা।
অভিনব এই মেনু প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সকলকে তাক লাগালো রাজনগর চক্রের বিভিন্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাজনগরের বিডিও শুভাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন মেনু তৈরি করে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল এবং ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হয়।
যেসব বিদ্যালয় অভিনব এবং প্রচুর পদ দিয়ে প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের খাইয়েছেন তাদেরকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন বিডিও শুভাশিস চক্রবর্তী।
এ ধরনের একটি উদ্যোগ জেলায় তো বটেই এমনকি রাজ্যেও নজির স্থাপন করলো বলে মনে করছেন অনেকেই।