|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। আর বুধবার অতীত সমস্ত রেকর্ড ভেঙে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারালেন মারণ করোনা ভাইরাসে। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন ও কড়া বিধিনিষেধের ফলে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৩৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণ লাগামহীন মহারাষ্ট্রেও। তারই মধ্যে চলতি বছরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩০-এ। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪,৫৩৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ২৪৮ জন।
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। দিল্লিতেই যেমন সপ্তাহ খানেক আগেও হাসপাতালে বেড পেতে হিমশিম অবস্থা হচ্ছিল সাধারণ মানুষের। এখন বহু খালি বেড রয়েছে বলে জানানো হচ্ছে। বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন মোট ৩২ লক্ষ ২৬ হাজার ৭১৯ জন।
তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৫১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ১৯ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৬৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১৮ কোটি ৫৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। দ্রুত টিকার ঘাটতি মেটানোর চেষ্টাও চলছে পুরোদমে। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ২০ লক্ষ ০৮ হাজার ২৯৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও।