ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশ পাচার করার পথে বীরভূমে গরু ভর্তি গাড়ি সহ ধৃত- ৩

 

     

     

    খান আরশাদ, বীরভূম:

    ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশ পাচার করার পথে বীরভূমে গরু ভর্তি গাড়ি সহ ধৃত ৩। জেলার বুকে অবৈধ বালি কয়লার মতো ক্রমশ বেড়ে চলেছে গরু পাচার। যদিও পুলিশের তৎপরতায় বহু ক্ষেত্রে পাচারকারীরা গরু গাড়ি সহ ধরাও পড়ছে। সোমবার রাতভর গোপন সূত্রের ভিত্তিতে সিউড়ি সাঁইথিয়া পাকা রাস্তার উপর এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিএসপি স্বপন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর সন্দেহজনক একটি ডিসিএম গাড়ি দেখা যায়। এদিকে গাড়ির চালক পুলিশ দেখতে পেয়ে রাস্তা বদলে ফেলে। ফলে সন্দেহ হয় পুলিশের এবং ছয় কিলোমিটার ধাওয়া করে সিউড়ি থানার ইটাগড়িয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়। অভিযান চালিয়ে গাড়িটির মধ্যে থেকে ৩৭টি বড় আকারের গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

    কাঠের পাটাতন ব্যবহার করে দুটি ধাপ করে বিশেষ পদ্ধতিতে ওই গরুগুলোকে ট্রাকের ভেতরে রাখা হয়েছিল। পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার লক্ষ্যে গাড়ির পেছনে সোনালী রঙের প্লাস্টিকের চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ গরু ভর্তি গাড়ি সহ চালক ও দুই সহকারীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে ঝাড়খণ্ডের মহিষবাথান থেকে গরু ক্রয় করে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে বিক্রির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।

    ইতিপূর্বেও এই পথ দিয়ে গরু পাচারের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তারা আরও জানিয়েছে যে, রাতের দিকে বীরভূমের ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্ত অতিক্রম করার পর তারা সপ্তাহে কমপক্ষে ২-৩ দিন বিহার- ঝাড়খণ্ড থেকে মুর্শিদাবাদ গরু অবৈধভাবে পাচার করত।

    গরুর অবৈধ ব্যবসার জন্য ট্রানজিট রুট হিসেবে বীরভূমের এই পথ ব্যবহার করছে। ধৃত ব্যক্তিদের সিউড়ি থানায় হস্তান্তর করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।