কৃষি বিলের প্রতিবাদে ওড়িশা বিধানসভা ভবনের সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ৩ কৃষকের

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে কৃষক অসন্তোষ ক্রমে দানা বাঁধছে। পঞ্জাব বা হরিয়ানা শুধু নয়, অন্যান্য রাজ্যেও কিন্তু কৃষক মনে অসন্তোষ ক্রমে তীব্র আকার নিচ্ছে। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন ঘিরে চরম উত্তজেনার মধ্যেই শুক্রবার ওডিশায় তিন প্রতিবাদী কৃষক আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। ওডিশা বিধানসভার সামনেই কটকের অথাগড়় ব্লকের ওই তিন চাষি গায়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। ওডিশা বিধানসভায় এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। ফলে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা রয়েছে। কিছু একটা ঘটতে চলেছে আন্দাজ করে নিরাপত্তারক্ষীরা দৌড়ে আসেন। কটকের তিন কৃষককে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে তাঁরা বিরত করেন। পরে, ওই তিন কৃষককে আটক করা হয়।

     

     

    নয়া কৃষি আইনে অসন্তোষ ওডিশাতেও কটকের ওই তিন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদেই তাঁরা বিধানসভা ভবনের সামনে এসে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অথাগড় জেলা সমবায় ব্যাংকে

    ঋণের অনিয়ম নিয়েও তাঁরা অসন্তোষের কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। অভিযোগ, সমবায় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই কৃষকরা প্রশাসনের নজরে আনতে চেয়েছিলেন।

    বিগত চার দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ওডিশা বিধানসভার সামনে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটল। গেল মঙ্গলবারই নয়াগড় জেলার এক দম্পতি ওডিশা বিধানসভার সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই দম্পতি তাঁদের নাবালিকা মেয়ের খুনের ন্যায়বিচার দাবি করে আসছেন। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণেই তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

     

    এদিকে, পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান উপেক্ষা করে কৃষকরা তাঁদের আন্দোলনে অনড় রয়েছেন। বিগত কয়েক ঘণ্টা ধরে দিল্লির একাধিক সীমানায় তাঁরা অবস্থান করছেন। এর মধ্যে একাধিক বার ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানী অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টাও করেছেন। কৃষক সংগঠনগুলোর বক্তব্য, কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না-হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

     

    কৃষকদের অনড় মনোভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি দেয়। তবে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দেওয়া হয়নি। বুরারির নিরঙ্কারী ময়দানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভে শামিল আর এক কৃষকের কথায়, ‘কোভিড-১৯ গাইডলাইনের কথা বলে পুলিশ আমাদের প্রতিহত করতে চেয়েছিল। কিন্তু, আমরা সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েই দিল্লি অভিযানে শামিল হয়েছি। কেন্দ্রীয় আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব