|
---|
উজির আলী,চাঁচলঃ ২৪ সেপ্টেম্বর
সম্ভাব্য ১৯৭৪ সালে মালদহের চাঁচল ও মালতিপুর বিধানসভার মহানন্দা নদী সংলগ্নে তৈরী হয়েছিল সংরক্ষিত বাঁধ।তৎকালীন রাজ্যের জাতীয় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় ও রাজ্য সেচ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী এ.বি.এ গনি খান চৌধুরীর প্রচেষ্টায় বাঁধ নির্মানের কাজ সম্পন্ন হয়।
যদিও তখন ট্রাক্টর বা জেসিবির প্রচলন ছিল না।
দিবারাত্রী শ্রমিকরা মাটি কেটে গরু ও মহিষগাড়ী তে করে মাটি বহন করে একবছরেই কাজের সমাপ্তি ঘটে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা থেকে চাতর পর্যন্ত প্রায় ৪৮ কিলোমিটার বাঁধ তৈরীতে দুটি বিধানসভার জনতার মুখে দন্তবিকাশ ঘটে সেই সময়।
কারন এলাকার হাজারো মানুষের আতঙ্ক রেশ কাটছিল ১৯৯৬ সালের বন্যায়। বার বার নদীতে জল বাড়লেই ঘুম উড়ে যেত এলাকাবাসীর
তাই সংরক্ষিত বাঁধ তৈরী খুশির আবহে ছিল গোটা এলাকা।
বাঁধ তৈরীর হলেও সাথে সাথে পাকা হয়নি রাস্তা। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলির যাতায়াতের সুবিধার্থে বাঁধ নির্মানের ত্রিশ বছর পর সম্ভাব্য ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় সেচ ও জলপথ মন্ত্রী প্রিয় রঞ্জন দাস মুন্সি বাঁধের উপর পিচের রাস্তা নির্মান করে পাকা করে এলাকাবাসীর সুবিধা করেদেন।
পরে সম্ভাব্য ২০১১ সালে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার উদ্যোগে ও তৎকালীন উত্তর মালদা কেন্দ্রের সাংসদ মৌসম নূরের প্রচেষ্টায় বাঁধের রাস্তাটির আংশিক সংস্কার করা হলেও আর কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
প্রায় ০৯ বছর ধরে রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বাঁধ রাস্তা দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরণের ক্ষুদ্র যানবাহন। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা বলে খবর। এ অবস্থায় রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় হাজী আব্দুল গনি জানান, মহানন্দা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণের বাঁধ রোডটির সংস্কার নেই দীর্ঘদিন। ফলে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে ছোটবড় অনেক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দু ধার ভেঙে গিয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে পাকা রাস্তাটি। অহরহে ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে বাঁধ এই অবস্থা থাকলে নদীর জল ফুঁসলেই আতঙ্কে কাটাতে হয় এলাকাবাসীকে।
খানপুরের এক শিক্ষক আব্দুর রশিদের অভিযোগ, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে ট্রাক্টর, ভটভটি, অটোরিকশা, ভ্যান, বাই-সাইকেল, মোটরবাইকসহ অসংখ্য ক্ষুদ্র যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। ঝুঁকিপূর্ণ এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই পুঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
এঅবস্থায় রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের দাবিতে স্বোচ্চার হয়ে উঠেছেন চাঁচল ও মালতিপুর বিধানসভার হাজারো বাসিন্দা।
আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে বাঁধের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু না হলে বৃহত্তম আন্দোলন নামা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন চাঁচল ও মালতিপুর বিধাসভার বাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দারা।
এবিষয়ে মালতিপুর বিধানসভার কংগ্রেসের বিধায়ক আলবেরুনী জুলকার নাইন জানান, বাঁধ থেকে শুরু করে পিচ রোড সব কংগ্রেসই কাজ করেছে। তবে করোনা আবহে যোগাযোগ ব্যবস্থার অচলে রাজ্য সেচ দপ্তরে পৌঁছানো যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সেচ দপ্তরের সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা হবে।
মালদা জেলাপরিষদের কৃষি ও সেচ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন অবশ্য সেচ দপ্তরে রাস্তার বেহাল দশার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন বর্ষা মিটলেই কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাঁচল বিধানসভার বিধায়ক আসিফ মেহবুব জানান, সংস্কারের জন্য বিধানসভার পক্ষ থেকে সেচ দপ্তরে জানানো হয়েছে। সমপূর্ণটাই সেচ দপ্তরে উপর নির্ভর করছে। বিষয়টি জেলা সমাহর্তাকেও জানিয়েছেন তিনি।