|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারি হেতু লকডাউনের কারণে বর্তমান বর্ষে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজক সংস্থা স্পেশাল অলিম্পিক ভারত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দেশব্যাপী ৫-এ-সাইড ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতাটিকে বালক ও বালিকা এই দুই বিভাগে ভাগ করা হয়। বালিকা বিভাগে সর্বমোট ৯ টি রাজ্য অংশগ্রহণ করে। গত ১৫ই আগষ্ট গ্রুপ পর্যায়ে ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে ফাইনাল পর্যায়ে বাংলা, গোয়া ও বিহার খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এই পর্যায়ে প্রথম ম্যাচ বাংলা ও বিহারের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এবং অবশেষে বাংলা ১২২০ পয়েন্ট অর্জন করে জয়ী হয়। গত ২১শে অক্টোবর বিজয়ী দল বাংলা ও গোয়ার মধ্যে ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে বাংলার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বালিকা খেলোয়াড়গণ ১২১১ পয়েন্ট অর্জন করে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। গোয়া অর্জন করে ১১৯৪ পয়েন্ট। বালিকা বিভাগের সমগ্র ম্যাচগুলি আশা ভবন সেন্টারের কাটিলা শিশু আবাসন ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলার এই সাফল্য গোটা বঙ্গবাসীকে গর্বিত করে। এখানে উল্লেখ্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের ৭ জনের মধ্যে ৬ জন আশা ভবন সেন্টারের কাটিলা শিশু আবাসনের আবাসিকা যাদের নামগুলি হল মালা, শম্পা, জাহিরা, বাসন্তী, ইত্তেসামা এবং প্রিয়াঙ্কা এবং এই শিশু খেলোয়াড়রা প্রত্যেকেই বৌদ্ধিক প্রতিন্ধকতাসম্পন্ন (Intellectual Disabilities). হোমের শিশুদের এই সাফল্য প্রসঙ্গে হোম সুপার শ্রীমতী অরুণিমা জাসু জানান পশ্চিবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ার জনপ্রিয় “খেলা হবে”প্রকল্পের অনুপ্রেরনায় ও তাঁর অনুদানে প্রাপ্ত ‘জয়ী’ নামাঙ্কিত ফুটবলে নিরন্তর অনুশীলনে এই সাফল্য আসে। প্রতিযোগিতায় নির্দেশিত ৫ টি দক্ষতা প্রদর্শন যথা ড্রিবলিং, থাইট্যাব, বল কন্ট্রোল, টার্গেট হিটিং এবং গোল স্যুটিং প্রতিটি বিভাগে শিশুদের উৎকর্ষতা আয়োজক সংস্থার তরফে প্রভূত প্রশংসা অর্জন করেছে।
পাশাপাশি বাংলা বালক বিভাগে মোট ১৬ টি রাজ্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় যার মধ্যে ঝাড়খন্ড, গোয়া ও বাংলা ফাইনাল পর্যায়ে উন্নীত হয়। কিন্তু এই বিভাগে বাংলার ফল আশানুরূপ হয়নি। গোয়া চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ঝাড়খন্ড ও বাংলা যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে। বালক বিভাগের প্রতিযোগিতা ২৮শে অক্টোবর কামারহাটিস্থিত মা অঘোরমনি শিশু উদ্যান সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।