একের পর এক পকেট সাফাই করতে গিয়ে সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশের জালে ৭ মহিলা পকেটমার

নিজস্ব সংবাদদাতা : নারীর জয়জয়কার সর্বত্র! তা যেমন গর্বের হয়, কখনও কখনও আবার তা লজ্জাও ডেকে আনে। জ্বলন্ত প্রমাণ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার সুপ্রসিদ্ধ গেঁড়িবুড়ির মেলা। একের পর এক পকেট সাফাই করতে গিয়ে সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশের জালে ৭ মহিলা পকেটমার। শনিবার সন্ধ্যায় এই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাসিন্দা কুখ্যাত ‘লেডি গ্যাং’ এর এই সাত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে দাসপুর থানার পুলিশ।রবিবার তাদের ঘাটাল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। তবে, আজ সোমবার, পুনরায় শুনানির পর নির্দেশ দেবেন বিচারক। দাসপুর থানার পুলিশ এই মহিলা পকেটমার-দের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও বড়ো চক্রের সন্ধান চালাতে চাইছে বলেই সূত্রের খবর।প্রসঙ্গত, বছরে একবার দাসপুর থানার বলিহারপুর ও পুরুসত্যমপুর এলাকায় বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গেঁড়িবুড়ির মন্দির চত্বরে গেঁড়িবুড়ি পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা বসে। কোভিডে গত দু’বছর সেভাবে মেলা বসেনি। এবছর, মেলা জনজোয়ারে পরিণত হয়।শনিবার রাতে মেলায় ভিড়ের সুযোগেই একের পর এক পকেটমারির ঘটনা ঘটতে থাকে। চোখের পলকে একাধিক জনের টাকার ব্যাগ, মোবাইল উধাও হতে থাকে। খবর যায় দাসপুর থানায়। এরপরই, সাদা পোশাকে বা সিভিল ড্রেসে আসরে নামে পুলিশ। এক মহিলাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় পকেটমারি করার সময়। তারপরই ধরা পড়ে কুখ্যাত এই ‘লেডি গ্যাং’ এর আরও ৬ মহিলা পকেটমার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া ৭ মহিলাই পূর্ব মেদিনীপুর এর ময়না এলাকার বাসিন্দা। বিভিন্ন এলাকায় মেলা বা জমায়েত হলে, ভিড়ে ঢুকে মানি পার্স, মোবাইল ছিনতাই করা এদের পেশা! অন্তত ১৫-২০ জনের এই গ্যাং সক্রিয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এঁদের সঙ্গে পুরুষ পকেটমার’রাও যুক্ত বলে প্রাথমিক অনুমান। এই সাত মহিলা পকেটমার-কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রহস্য উদ্ধার করতে চাইছে দাসপুর থানার পুলিশ।