বিজেপির এক সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর মত নীরবে সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে

বিজেপির এক সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর মত নীরবে সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে

     

     

    নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক : শুভেন্দু অধিকারীকে দলে নিয়ে যখন বিজেপি খুব উৎফুল্ল, তখনই বিজেপির এক সাংসদই শুভেন্দু অধিকারীর মত সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে রাজ্য রাজনীতিতে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

    নীরবে সুজাতা মণ্ডল খাঁ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বিজেপি সাংসদের স্ত্রীর এই দল ছাড়া ও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপির হেভিওয়েট সাংসদ জানান দিয়েই দল ছাড়বেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    সম্প্রতি জল্পনা শুরু হয়েছে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে। শান্তনু নিজে বা তৃণমূল কেউই এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি। আবার বিজেপিও এ আশঙ্কার কথা স্বীকার করছে না। তবে সমস্যা যে গভীরে এবং শান্তনুর দলবদল নিয়ে যে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।

    বিশেষ সূত্রের খবর শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে গোপনে বৈঠক সেরে এসেছেন তৃণমূলের এক মন্ত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে নাম লেখাতে পারেন। ঘরওয়াপসি হতে পারে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের, ফের জোড়া লাগতে পারে মতুয়া ভোটের বিভাজন।

    এখনও জল্পনার পর্যায়ে সবকিছুই। তবে শান্তনু যদি তৃণমূলে ফিরে আসেন, তবে তৃণমূল যে বনগাঁ ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে পায়ের তলার মাটি ফিরে পাবে তা বলাই বাহুল্য। মতুয়া ভোটের প্রভাব রাজ্যের প্রায় ৭৫টি কেন্দ্রে রয়েছে, সেই ভোটব্যাঙ্ক যদি ফিরে আসে তবে তৃণমূলে আবার জোয়ার আসবে।

    শান্তনু বিজেপিতে থাকুন বা তৃণমূলে যান, তাঁকে নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বও এখন ঘোর উদ্বেগে। রাজ্যে এনআরসি-সিএএ চালু করা নিয়ে শান্তনু ঠাকুর প্রকাশ্যেই তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সেই ক্ষোভ প্রশমণ করতেও দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নিজে শান্তনুর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

    কোন মুখে বিধানসভা ভোটের কথা বলব? প্রশ্ন সাংসদের। একুশের আগে শান্তনু ঠাকুরের ক্ষোভ নাগরিকত্ব আইন চালু না হওয়া নিয়ে। তাঁর কথায়, আমি এই প্রতিশ্রুতি মতুয়াবাসীকে দিয়ে বনগাঁ লোকসভায় জয়যুক্ত হয়েছিলাম। এখন যদি তা দিতে না পারি, আমার মুখ থাকবে না। আমি কোন মুখে তাঁদেরকে বিধানসভা ভোটের কথা বলব? তাঁরা আমার কথা বিশ্বাসই বা করবে কেন?

    মুখে কুলুপ শাহের, মুখ দেখাতে পারছেন না সাংসদ। লোকসভা ভোটের পর দেড় বছর কেটে গেলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না শান্তনু, এমনই এক শোচনীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে মুখ খোলার পরই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তাঁর বাড়িতে এসে আশ্বস্ত করে যান। জানুয়ারিতেই নতুন নাগরিকত্ব আইন চালু করা হবে বলে শান্তনুকে আশ্বাসও দেন বিজয়বর্গীয়। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্য সফরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অমিত শাহ।