বোলপুরের শান্তিনিকেতন এলাকায় হঠাৎ একটি নীলকন্ঠ ময়ূরকে গাছের ডালে দেখা যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বোলপুরের শান্তিনিকেতন এলাকায় বুধবার বিকাল বেলায় হঠাৎ একটি নীলকন্ঠ ময়ূরকে গাছের ডালে দেখা যায়। হঠাৎ এই এলাকায় এইভাবে ময়ূরকে দেখা যেতেই স্থানীয়দের মধ্যে শুরু হয় উৎসাহ। ময়ূর দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। ময়ূরটিকে এদিন শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন গাছের ডালে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। প্রথমদিকে কীভাবে এই ময়ূর এল তা নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ ছিল না। যদিও পরে জানা যায় এই ময়ূরটি এসেছে পাশেই থাকা বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে।বোলপুরের একটি এটিএম কাউন্টারে কর্মরত কর্মী সৌমজিৎ দাস জানিয়েছেন, “হঠাৎ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম সেই সময় দেখি অনেক মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারপর গাড়ি থামিয়ে নেমে দেখতে পাই এখানে একটি নীলকন্ঠ ময়ূর গাছের ডালে চরে রয়েছে। এই ধরনের ময়ূর এর আগে কোনদিন এই এলাকায় দেখা যায়নি। ময়ূরটিকে দেখতে সাধারণ মানুষেরা ভিড় জমিয়েছিলেন। এমন অপরূপ দৃশ্য দেখে প্রত্যেকেই মোহিত।”এই ময়ূরটি এইভাবে শান্তিনিকেতন এলাকায় আসার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর বন দফতরের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, এটি বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকেই বেরিয়ে এসেছে। ময়ূরটি সুস্থ রয়েছে এবং এবং সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল এই ময়ূরটি কি পুনরায় উদ্ধার করে অভয়ারণ্যে নিয়ে যাওয়া হবে? এই বিষয়ে বোলপুর বন দফতরের আধিকারিক প্রদীপ হালদার জানান, অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে আসা ময়ূরটির দিকে আমাদের বন কর্মীরা নজর রাখছেন। যাতে করে তার কোন ক্ষতি না হয় অথবা কেউ কোনো রকম ক্ষতি করতে না পারেন। কিন্তু এখনই ময়ূরটিকে উদ্ধার করে অভয়ারণ্যে আনার মতো পরিকল্পনা নেই।কারণ হিসাবে তিনি জানান, “ময়ূরটি এখন সুস্থ এবং মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে তার মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোয় কোনরকম বাধা দেওয়া হবে না। আশা করা হচ্ছে ইলামবাজার এলাকায় আরও বেশ কিছু ময়ূর রয়েছে, সেই সকল ময়ুরদের সঙ্গে এই ময়ূরটি মিশে যাবে।”এর পাশাপাশি তিনি জানান, এই ময়ূরটিকে আসলে সাঁইথিয়া এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে একসময় এই বল্লভপুর অভয়ারণ্যে আনা হয়েছিল। এরপর থেকেই সেখানে ছিল ময়ূরটি। এখন এই ময়ূরটি সুস্থ হয়ে ওঠার পর মুক্ত পরিবেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে।