|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বোমা মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তথা নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বাড়িতে। অভিযোগের আঙুল বিরোধীদের (opposition) দিকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, গত কাল মাঝ রাতে তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথের বাড়ির জানলা লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। সেই বোমার আঘাতেই জানলার কাচ ভেঙে যায় বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের। স্বপন দেবনাথের বাড়ির নিচেই রয়েছে পোস্ট অফিস। বোমার আঘাতে পোস্ট অফিসের ব্যানারও ছিড়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর খবর যায় নবদ্বীপ থানায়। পুলিশ এসে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের বক্তব্য, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতেই বিরোধীরা এই বোমাবাজি করেছে। অভিযোগ মানতে চায়নি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নদিয়া জেলা উত্তরের সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। প্রসঙ্গত, এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের প্রাক্তন খড়্গপুর শহর-সভাপতি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ায় নতুন করে জোড়াফুল শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বের তত্ত্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সাংগঠনিক পদে রদবদল করছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলের খড়্গপুর শহর-সভাপতির পদ থেকে দীপ্যেন্দু পালকে সরিয়ে সূর্যপ্রকাশ রাওকে ওই পদে বসানো হয় সেই রদবদলের অঙ্গ হিসেবে। আর তার পরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দীপ্যেন্দু পাল। বলেন, ‘আমার নামে কোনও তছরুপের মামলা নেই। কারও কাছে ঘুষ খেয়েছি বা টাকা নিয়েছি বা কোনও মহিলাঘটিত ব্যাপার, এমন কোনও অপবাদও নেই। তাও আমাকে হঠাৎ সরিয়ে দিল। বিরোধী বা অন্য দল থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরাই দেখছি এখন তৃণমূলে প্রাধান্য পাচ্ছেন।’ সঙ্গে সংযোজন,’যাঁরা সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করছেন, দিদি ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ভালোবাসেন, দলের মধ্যে তাঁদের কোনও প্রাধান্য নেই। যাঁদের এখন সভাপতি বা সহ-সভাপতি করেছে, তাঁদের ১০ বছর ধরে দলে কোনও অস্তিত্ব নেই।’ ঘটনা ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দলের বিষয়টি ফের আলোচনায়। কটাক্ষ এসেছে বিজেপি শিবির থেকেও। তাঁদের মতে, ‘ তৃণমূলে যে ভাল কাজ করবে তাঁর জায়গা নেই। তৃণমূলে যে চুরি করবে, যে কাটমানি নেবে, যে দলবাজি করবে, যে গোষ্ঠীকোন্দল করবে তিনি তৃণমূলের ভাল নেতা। ভাল জায়গা পাবেন।’