নদিয়া জেলার নবদ্বীপে একটি মামলার নিষ্পত্তি ঘটল প্রায় ১৭ বছর পরে

নিজস্ব সংবাদদাতা : আমাদের ভারতবর্ষে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে একের পর এক অপরাধ। অপরাধীরা ধরাও পড়ছে। বিচারের জন্যে তাদের তোলা হচ্ছে আদালতে। কিন্তু অনেকেই মনে করতে পারেন আদালতে তোলার পরেও অপরাধীদের সাজা দিতে বিলম্ব হয় কেন আদালতের। তার প্রধান কারণ আমাদের প্রায় ১৩০ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশে আদালত রয়েছে খুবই কম। আদালতের পাশাপাশি আদালতে বিচারপতির সংখ্যাও বর্তমানে কম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই কারণে একটি কেস আদালতে উঠলে পরে অনেক সময় বেশ কয়েক বছর লেগে যায় কেসটির নিষ্পত্তি ঘটতে। ঠিক তেমনই নদিয়া জেলার নবদ্বীপে একটি মামলার নিষ্পত্তি ঘটল প্রায় ১৭ বছর পরে।১০ জন অপরাধীকে ১৭ বছর পর সাজা ঘোষণা করা হল। জানা যায়, মারধর ও বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগে ১০ জনকে সাজা ঘোষণা আদালতের। প্রায় ১৭ বছর আগে প্রতিবেশীর বাড়িতে দল বেঁধে ঢুকে মারধোর এবং ভাঙচুর করেছিলেন তারা। ১২ জনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে ২০০৫ সালে ২৪ আগস্ট থানায় অভিযোগ না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেছিলেন বিষ্ণুপ্রিয়া ঘোষ। এতদিন পর মঙ্গলবার সেই মামলার নিষ্পত্তি হল নবদ্বীপ আদালতে। অভিযুক্তদের সাজা স্বরূপ প্রত্যেকের ৮০০ টাকা করে জরিমানা ঘোষণা করল নবদ্বীপ আদালত।নবদ্বীপ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ২০০৫ সালের ২৪ অগস্ট নবদ্বীপ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়োকালী তলার বাসিন্দা বিষ্ণুপ্রিয়া ঘোষের বাড়িতে ঢুকে তাকে এবং তার স্বামী ভজন ঘোষ, দু মেয়ে পিয়ালি ও মাম্পিকে মারধোর করে গোপাল সাহারা নেতৃত্বে একদল লোক। তারা সকলে ওই এলাকার বাসিন্দা। সেই সঙ্গে ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতে। এমনই অভিযোগ করেন অভিযোগকারী বিষ্ণুপ্রিয়া ঘোষ। এ প্রসঙ্গে নবদ্বীপ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নবেন্দু মণ্ডল বলেন, “বিষ্ণুপ্রিয়া ঘোষ আদালতে জানিয়েছিলেন বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এরপর তিনি সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হন।”সরকারি কৌঁসুলি আরও জানিয়েছেন মামলাটিতে মোট ১২ জনের নামে অভিযোগ থাকলেও ইতিমধ্যে দু’জনের মৃত্যু হওয়ায় দশজনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছেন নবদ্বীপের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নবেন্দু মণ্ডল বলেন “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ এবং ৪৪৮ ধারায় মামলাটি রুজু হয়েছিল। তাদের মধ্যে জীবিত দশজনের প্রত্যেকের ৮০০ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।”