৮০ বছরের বৃদ্ধা মা-কে খাবার না দিয়ে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা: তিন দিন ধরে ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা-কে খাবার ও জল না দিয়ে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অশোকনগর থানার বাঁশপুল এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা শান্তিলতা ঘোষ, এক ছেলে ও তিন মেয়ের মা তিনি । ছেলে গোপাল ঘোষের কাছেই থাকতেন শান্তিলতাদেবী । কিন্তু ছেলের মানসিক অত্যাচার একসময়ে চরমে ওঠে। বৃদ্ধা মা আক্ষেপের সুরে জানান, ” তিন দিন আমাকে কোনও খাবার ও জল দেয়নি ওরা।”

     

    বৃদ্ধাকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির পিছনে একটা ভাঙ্গা টিনের ছাউনির নিচে। রোদ বৃষ্টিতে সেখানেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। অভিযোগ, শনিবার একটি টোটোতে‌ মাকে তুলে দেন ছেলে গোপাল ঘোষ। টোটো চালককে বলেন, বৃদ্ধাকে অশোকনগরের ঘোষ পাড়াতে মেয়ের বাড়ি দিয়ে আসতে। সেই মতো টোটো চালক বৃদ্ধাকে মেয়ের বাড়ি ড়েছে আসতে যান, কিন্তু অভিযোগ, মেয়েও মাকে ফিরিয়ে দেন।

    এরপর, টোটো চালক-ই গোপাল ঘোষকে ফোন করে বিষয়টি জানান। টোটো চালকের দাবি, ছেলে মুখের উপর বলে দেন, তিনি মা-কে রাখতে পারবেন না। বৃষ্টির কারণে ভিজে যান ওই বৃদ্ধা। অসহায় ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে কী করবেন ভেবে না পেয়ে, অশোকনগর থানার দারস্ত হন টোটো চালক। পুরো ঘটনাটি জানার পরই তৎপরতার সঙ্গে অশোকনগর থানার পুলিশ শান্তিলতা দেবীকে স্থানীয় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন চিকিৎসার জন্য। ছেলের এই অমানবিক ঘটনার কথা জেনে, গোপাল ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘গুণধর’ ছেলে পুলিশকেও সাফ জানান, ‘আমি মাকে রাখব না’।