|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : গ্রামের বিবাদের জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা বধূর বাড়িতে চড়াও হয়ে তার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল নদিয়ার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গয়েশপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের লাথিতে ওই মহিলার গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত রবিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গয়েশপুর পঞ্চায়েতের টেংরিডাঙ্গা গ্রামে। আনোয়ারের ফতোয়া না মানার ‘অপরাধেই’ গভীর রাতে তিনি ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রের খবর, দলের নাম ব্যবহার করে ইটভাটার মালিক আনোয়ার এলাকা জুড়ে অশান্তির আবহ তৈরি করেছেন। নির্যাতিতা বধূর পরিবারের সদস্যেরা থানায় অভিযোগ করলে ফের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁদের খুনের হুমকি দেন আনোয়ার এবং তাঁর সঙ্গীরা।স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জয়দেব বিশ্বাস শনিবার বলেন, ‘‘আনোয়ারের হুকুম না মানলেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার শাসানি শুনতে হয় রোজ।’’ তিনি জানান, গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেদিয়ায় বাড়ি আনোয়ারের। সাত বছর আগে ওই গ্রামে বিয়ে হয়ে আসেন পাশের টেংরিডাঙা গ্রামের বাসিন্দা মান্নান শেখের মেয়ে সুলেখা খাতুন। কর্মসূত্রে তাঁর স্বামী বাইরে থাকেন। সেই কারণে সুলেখা মাঝেমধ্যেই পাশের গ্রামে তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতেন। অভিযোগ, গ্রামীণ বিবাদের জেরে আনোয়ার ওই বধূর উপর ফতেয়া জারি করেন, বাপের বাড়িতে না যাবার জন্য! কিন্তু সেই নির্দেশ না মানছিলেন না সুলেখা।গত রবিবার রাতে আনোয়ার লোকজন নিয়ে সুলেখার বাপের বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। সুলেখা র দাদা বাদশা শেখ বলেন, ‘‘আমরাও তৃণমূল কংগ্রেস করি। কিন্তু আনোয়ারের অত্যাচার থেকে রেহাই মেলেনি। সেদিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দুষ্কৃতীদের নিয়ে সে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। বাড়িতে আমার মা এবং বোন ছিল। বাড়িতে ঢুকে আমার মায়ের উপর অত্যাচার করে। আমার অন্তঃসত্ত্বা বোনের পেটে লাথি মারা হয়। আমার বোনকে তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। তার গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।’’বিকাশ জানান, ওই ঘটনার বিষয়ে তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করার পর রাতে ফের আনোয়ার তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর করে। পিস্তল উঁচিয়ে খুন করার হুমকি দেয়। ভেতরের দরজা বন্ধ রাখার কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। আমরা ফের তার নামে অভিযোগ দায়ের করছি।’’ সুলেখার বাবা মান্নান শেখ বলেন, ‘‘আতঙ্কের কারণ রমজান মাসেও পরিবার নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারছি না।’’