|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- দক্ষিণ ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) ক্যানিংয়ে (Canning) মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। হামলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে একজনকে। এলাকায় মাদক কারবারের রমরমার জন্য পুলিশকেই দায়ী করলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক (TMC)।ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক পরেশরাম দাসের কথায়, পাতা, গাঁজা, ২ নম্বরি ব্যবসা লোটো, ক্যানিংয়ের (Canning) বিভিন্ন জায়গায় চলছে। পুলিশকে দোষ দিচ্ছি। পুলিশ, পুরোপুরি ইন্ধন আছে। এই বিভিন্ন রকম বেআইনি ব্যবসার জন্য। মাদক-সহ বেআইনি কারবারের রমরমা চলছে পুলিশের ইন্ধনে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন খোদ শাসক দলেরই এক বিধায়ক! দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের এই দাবিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। শনিবার সকালে ক্যানিংয়ের পূর্ব বয়ার সিং গ্রামে এক মহিলার আক্রান্ত হওয়া নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত।স্থানীয় সূত্রে খবর, মোজাম মোল্লা নামে গ্রামের এক বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করছেন। প্রতিবেশীর এই কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিকবার সরব হন এক গৃহবধূ। অভিযোগ, মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় আগে হুমকির মুখে পড়েছিলেন মহিলা। এদিন সকালে ওই বধূ যখন মাঠে যান, তখন তাঁর ওপর চড়াও হন মোজাম মোল্লা। সঙ্গে ছিলেন মোজামের স্ত্রী ও ছেলে।তিনজন মিলে প্রতিবাদী গৃহবধূর মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন বলে অভিযোগ।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত গৃহবধূ। পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহবধূর ওপর হামলার অভিযোগে মাদক কারবারির স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় মাদক কারবার নিয়ে পুলিশকে তুলোধনা করেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক।ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের কথায়, এর আগে আমি SDPO, IC, SP থেকে আরম্ভ করে সব জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু ক্যানিংয়ের বুকে বিভিন্ন অঞ্চলে লোটো ব্যবসা চলছে। বেআইনি। বিভিন্ন অঞ্চলে পাতা বিক্রি চলছে। ক্যানিং থানার আগের বড়বাবু যিনি ছিলেন, একজন পাতা ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে এসেছিলেন। ১ লক্ষ টাকা থানা থেকে নিয়ে উনি আবার সেই পাতা ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেন। আমি SP-কে জানিয়েছি। সব জায়গায় জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি।তৃণমূল বিধায়কের দাবি প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বিধায়কের তোলা অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। এই ঘটনায় কোনও পুলিশকর্মী যুক্ত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে মাটি মাফিয়ার দৌরাত্ম্যের জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মালদার রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান। এবার মাদক কারবারের জন্য পুলিশকে আক্রমণ করলেন শাসক দলের আরেক বিধায়ক।