|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- বাঁকুড়া (Bankura) শহরে শুরু হল গন্ধেশ্বরী (Gandheswari) নদীর সংস্কার। গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে নদীর সংস্কার করা হচ্ছে না। একই মন্তব্য স্থানীয় বিজেপি (BJP) সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের। তবে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পুরসভার পাল্টা জবাব, সঠিক পদ্ধতিতেই কাজ হচ্ছে।গ্রীষ্ণে যে নদী রুখা-সুখা থাকে, বর্ষা এলেই তার চেহারা হয়ে ওঠে ভয়ানক। দু’কুল ছাপিয়ে গন্ধেশ্বরীর জলে প্লাবিত হয় বাঁকুড়া শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। প্রতি বারের এই সমস্যা দূর করতে, এবার উদ্যোগী হল সেচ দফতর। শুরু হল মজে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সংস্কার।নদীর বুকে যন্ত্র নামিয়ে চলছে পলি ও আবর্জনা তোলার কাজ। সেচ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ৬০০ মিটার এলাকাজুড়ে নদীর সংস্কার হবে। এজন্য খরচ হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা। তবে সেচ (irrigation) দফতরের এই কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।বাঁকুড়ার বাসিন্দা বুদ্ধদেব দে বলছেন, ‘আরও আগে কাজ শুরু হলে ভাল হত। কারণ সামনেই বর্ষা আসছে।’গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ ভট্টাচার্য বলছেন, ‘আমরা যেভাবে নদীর সংস্কার চেয়েছিলাম তা হচ্ছে না, আমরা সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’নদীর সংস্কার বিজ্ঞানসম্মতভাবে হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারও। বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলছেন, ‘বিজ্ঞানসম্মতভাবে কাজ হচ্ছে না, খালগুলোর আগে সংস্কার দরকার।’যদিও এই নিয়ে সেচ দফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার দাবি, সমস্ত পদ্ধতি মেনেই কাজ হচ্ছে। বাঁকুড়া পুরসভার তৃণমূল নেত্রী ও পুরপ্রধান অলোকা সেন মজুমদারের কথায়, ‘কাজ ঠিকমতোই হচ্ছে।’নদীর সংস্কার কেমন হচ্ছে তা সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে খতিয়ে দেখেন বাঁকুড়ার পুরপ্রধান।