মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য মাংস নিয়ে আসতে বলেছিলেন সেই ‘অপরাধে’ স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাড়িতে মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য মাংস নিয়ে আসতে বলেছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ ঘাড়ে কোদালের কোপ মেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । বীরভূমের নলহাটি থানার বারা গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম রাধারানি কোনাই। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী প্রভাত কোনাইকে আটক করেছে নলহাটি থানার পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। গতকাল প্রভাত ও রাধারানি কোনাইয়ের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বারা গ্রামে বাপের বাড়িতে আসেন। রাতে খাওয়ার জন্য স্বামীকে মাংস নিয়ে আসতে বলেন রাধারানি । সেই নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর বচসা বাধে । অভিযোগ, রাতে মদ্যপ অবস্থায় এসে প্রভাত তাঁর স্ত্রীর ঘাড়ে কোদাল দিয়ে কোপ মারেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় রাধারানিকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাতেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানেই তাঁর মৃত্য হয় ।সম্প্রতি অপর একটি খুনের ঘটনা ঘটে নদিয়ায়। ২ বছরের শিশুর (Child) সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে নদিয়ায় (Nadia)। স্বামীকে (Husband) গ্রেফতার করে রানাঘাট (Ranaghat) থানার পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম অলকা দাস (২৭)। ঘটনাটি ঘটে পায়রাডাঙা বাজারপাড়া এলাকায়। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর ছয়েক আগে আসামের অলক দাস-এর সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় পায়রাডাঙ্গা বাজারপাড়ার সঞ্জিত দাসের। তাদের দু’বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের দাবি, বছর ছয়েক আগে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি শুরু হয়। মাসদুয়েক বাপের বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী। শ্বশুরবাড়িতে ফেরার পর অশান্তি চরমে ওঠে। এরই মধ্যে ফের স্বামী-স্ত্রীর বচসা বাধে। তার জেরেই স্ত্রীকে খুন বলে অভিযোগ।

     

    এরপর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়লে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চরমে ওঠে। দু’বছরের ছেলের সামনে নৃশংসভাবে দা দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ দেয় স্বামী। পাশের ঘর থেকে আর্তনাদ শুনে সকলে ছুটে এসে দরজা ভেঙে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূকে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে। পুলিশ ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেহটিকে উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।