পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী এক ব্যক্তি

মালদাঃ- পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী এক ব্যক্তি।মৃত ব্যক্তির নাম শংকর কর্মকার (৪৫)।বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গারমনি গ্ৰামে।ঘটনাকে ঘিরে এদিন আঙ্গারমনি গ্ৰামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত দেহটি উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শংকর কর্মকারের দাম্পত্য জীবনে দীর্ঘদিন ধরে একটা অশান্তি ছিল।কথায় কথায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া বেধে যেত।এর জেরে তাদের দাম্পত্য জীবনে ফাটল দেখা দেয়।স্ত্রী হেমলতা স্বামীকে বিশেষ গুরুত্ব দিত না।স্বামীর আদেশ ছাড়াই ভিন রাজ্যে কাজ করতে চলে যেত।বড়ো ছেলেও বিয়ে করে বাবাকে সরিয়ে আলাদা সংসার পেতেছে।পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসিকভাবে বিকার গ্রস্থ হয়ে পড়েছিল শংকর।এই কারনেই হয়তো ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী হয়েছে সে বলে অনুমান।

    এ প্রসঙ্গে মৃত শংকর কর্মকারের স্ত্রী হেমলতা কর্মকার থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন,
    ” বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কয়েকদিন আগে বিহার রাজ্যের বারসই থানার রহমানপুর গ্রামে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলাম।সঙ্গে আমার স্বামীও গিয়েছিল।বুধবার বিকেলে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে।বৃহস্পতিবার সকালে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় আমার স্বামীর শোওয়ার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।কিভাবে মৃত্যু হয়েছে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।আমরা এই বিষয়ে সঠিক তদন্তের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানা দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াঝাটি অশান্তি কিছুই হয়নি।ও ভিন রাজ্যে আমার বাবার সঙ্গে দিনমজুরের কাজ করতো। আমাদের তিন ছেলেমেয়ে।এখন কি ভাবে সংসার চালাবো কিছুই বুঝতে পারছিনা।

    এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা পাঠানো হয়েছে।