জীবন জীবিকার সন্ধানে ফেরিওয়ালারা

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমল ও দই ওয়ালার কথা আমাদের অনেকেরই জানা। প্রতিনিয়ত গ্রাম বাংলার অলিতে গলিতে কান পাতলে শোনা যায় চুলের বদলে থালা,হাঁড়ি বাসন পত্র পাবেন,পুরানো অ্যালোমনিয়ামের বদলে নতুন অ্যালমনিয়ামের হাঁড়ি পাবেন। হরেক মাল এমনি শোনা যায় পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ফেরি করা এই সমস্ত ব্যক্তিরা। মা বোনদের মাথার চুল সংগ্রহ করেন। সাথে টিন ভাঙা,লোহা ভাঙা ,পুরানো কাগজ কেনেন। আর হাতা,খুন্তি,গামলা বাটি চামচ কেউ কিনতে চাইলে সেটাও বিক্রি করেন। আগে মাথায় ঝোড়া নিয়ে ঘুরে বেড়াতো,এই মুহূর্তে সাইকেল কিম্বা একটা ভ্যানে করে ভ্রাম্যমান দোকান নিয়ে এ পাড়া থেকে ওপাড়ায়,এ গ্রাম থেকে ওই গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় সংসারের অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। বিশেষ করে দূরবর্তী বাজার যে সমস্ত এলাকায়। সেখানে এমনি চিত্র দেখা মেলে। বিশেষ করে অধিকাংশ গ্রামের মহিলারা যারা বড়ো বাজারে আসতে পারে না বা আসলেও এক সাথে এত রকমের হরেক মাল এক যায়গাতে মেলেনা তাদের কাছে এই দোকান লটারি পাবার মতন। গ্রামের অলি গলিতে গিয়ে এক টুকরো করে খাবার কিম্বা জিনিসের বদলে চুলগুলো ফেরিওয়ালারা কেনেন তা চার হাজারের অধিক মূল্যে বিক্রি করেন। আর এই চুল মূলত মেদিনীপুর কিম্বা কোলকাতা থেকে আসা পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। তারা কোলকাতায় নিয়ে গিয়ে পাঁচ হাজারের অধিক টাকায় কিলোপতি বিক্রি করে। সারা দিনে ৮০০গ্রাম থেকে ১ কেজি চুল তার সাথে ভাঙা জিনিস ও নগদ বিক্রি বাটা নিয়ে ঘরে ফিরতে বেলা দ্বিপ্রহর। দীর্ঘ সময় খাটাখাটনির পর বাড়িতে গিয়ে স্থান খাওয়া দাওয়া করতে সন্ধ্যা। এমনি তাদের রোজকারের ঘটনা।