|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :
সুন্দরবনে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপের শরীরে বিশেষভাবে নজরদারি করতে জিপিএস বসিয়ে ছাড়া হলো নদীতে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উদ্যোগে বুধবার বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপের শরীরে রেডিও ট্রান্সমিটার বসিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে ছাড়া হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় এই কচ্ছপের গতিবিধি, এদের বংশ বিস্তার ও পরিবেশের সঙ্গে কিভাবে তারা সামঞ্জস্য রক্ষা করছে সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেই এমনি উদ্যোগ বনদপ্তরের। বিশেষ করে গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দপ্তরের। একদা সুন্দরবন সহ মায়ানমার,থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া উপকূল পর্যন্ত এই বিশেষ ধরনের কচ্ছপের বসতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে এরা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। সজনেখালিতে বিশেষ পুকুর তৈরি করে সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ প্রজন্মের ব্যবস্থা করেছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। বিশেষ এই প্রজাতির কচ্ছপ সংরক্ষণের পরে আপাতত তাদের ছানাপোনা সংখ্যা এখন ৩৭০ছোট খাটো ও হরিখালী প্রজাতির কচ্ছপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বনদপ্তর। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা জানিয়েছেন মাগুরা প্রজাতির সুন্দরবনের নদীতে এদিন ছাড়া হল যার মধ্যে সাতটি স্ত্রী ও তিন টি পুরুষ কচ্ছপ এদের গতি প্রকৃতির উপর নজরদারি চালাতে শরীরে জিপিএস ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে। সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা এ প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করছে। সুন্দরবনে ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর জাস্টিন বলেন এই বিলুপ্ত প্রজাতির ইতিমধ্যে আমরা চাষ করেছি এরা কোন পরিবেশে থাকতে ভালোবাসে কিভাবে বেঁচে থাকে এবং কিভাবে প্রকৃতিকে নিজেদের বংশবিস্তার করে সে সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে জিপিএস ট্রান্সমিটার তাদের শরীরে বসানো হয়েছে। আগামী দিনে আরও পাঁচটা প্রজাতি সুন্দরবনের নদীতে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি এদিন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড দিরেক্টর তাপস দাস সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর ডিরেক্টর অজয় কুমার দাস ডিরেক্টর জাস্টিস উপস্থিত ছিলেন।