কচুরি না পেয়ে এক খরিদ্দার চড়াও হয় দোকানের ওপর ভাঙচুর চালায়

নিজস্ব সংবাদদাতা : সকালের জলখাবারে অনেকেই আছেন যারা পছন্দ করেন কচুরি খেতে। ছোলার ডাল আর গরম কচুরি জিভে জল আনার মত সুস্বাদু মেলবন্ধন। তবে যদি কোনও কচুরি প্রেমী কচুরি খেতে গিয়ে যদি তা না পায় তাহলে সে কি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তা হয়তো কেউ বুঝতেই পারত না যদি না পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হত। সোমবার সকালে চুঁচুড়া পুলিশ থানায় এক মিষ্টির দোকানের মালিক অভিযোগ দায়ের করেন তারই এক ক্রেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগটি হল, কচুরি না পেয়ে এক খরিদ্দার চড়াও হয় দোকানের ওপর। ভাঙচুর চালায় দোকানে কচুরি না পাওয়ার জন্য। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে, হুগলি ঘাট স্টেশন এলাকার শতাব্দী প্রাচীন একটি মিস্টির দোকানে।রবিবার সকাল দশটা নাগাদ দোকানে কচুরি কিনতে যান এলাকারই এক ব্যবসায়ী। স্থানীয় বারোদুয়ারী পুজো কমিটির শোভাযাত্রা ছিল সে সময়, ১৬০ টা কচুরির অর্ডার দেয় পুজো কমিটি। এর ফলে নিত্য দিনের কচুরির খদ্দেররা এসে দাঁড়িয়ে থাকে। স্থানীয় মুরগি মাংস বিক্রেতা সেখ জাফরের দাদা কচুরি কিনতে গেলে তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কচুরি থাকলেও ডাল শেষ হয়ে গেছে বলে জানায় মিষ্টির দোকানের কর্মচারীরা। এই নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেই সময় জাফর গিয়ে মিষ্টির দোকানে চড়াও হয়ে দোকান মালিক তপন দাসকে মারধর করে বলে অভিযোগ এবং দোকানের শো কেস ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ।দোকানের শোকেসের কাঁচে লেগে জাফরের হাত কেটে যায়, যার ফলে ১৩ টি সেলাই পড়ে তার বাঁ হাতে। মারধর এবং শোকেস ভাঙার অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছে জাফর। তার দাবি, বচসার সময় ধাক্কা ধাক্কিতে সে শোকেস এর উপর পড়ে যায় তাই তার হাত কাটে। মিষ্টির দোকান মালিক তপন দাস এর অভিযোগ কচুরির জন্য অপেক্ষা করতে বলায় দোকানে চড়াও হয়ে মারধর করে। পুলিশকে ফোন করে ঘটনার কথা জানাই, পুলিশ এলে সিসিটিভি ফুটেজও দেখানো হয়।যদিও স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দারা যদিও মিষ্টির দোকানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নালিশ করে। কারণ মিষ্টির দোকানের কর্মচারীদের ব্যবহার নাকি অত্যন্ত খারাপ। দোকান মালিকের দাবি পরশ্রী কাতর হয়েই তার দোকানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ওই মিষ্টির দোকানের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের ব্যবহার অতীব খারাপ। প্রায়শই খরিদ্দারদের সঙ্গে বচসা লেগেই থাকে দোকানের। অভিযুক্ত ব্যাক্তি জাফর বলেন, ঘটনার সময় স্থানীয় মানুষ সবাই ছিলেন। তারা দেখেছেন কি ঘটেছে। তিনি আরও জানান দোকান মালিকের সঙ্গে বচায় জড়ানোর একটাই কারণ তাদের অভদ্র ব্যবহার।