কোচবিহার জেলার এক তাঁত শ্রমিকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতীর ঘটনায় চাঞ্চল্য

নিজস্ব সংবাদদাতা : তাঁত শিল্পের জন্য পরিচিত নদিয়া জেলা। এই জেলার অধিকাংশ মানুষ তাঁত বুনুনের ওপর জীবিকা নির্ভর করেন। নদিয়া জেলার শান্তিপুর, ফুলিয়া ইত্যাদি জায়গায় পাওয়া যায় বিখ্যাত তাঁতের শাড়ি। ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ি বর্তমানে খ্যাতি অর্জন করেছে বিশ্বের দরবারে। জেলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক মানুষ জীবিকার জন্য আসেন এই জেলায়। বহু পরিযায়ী শ্রমিক নদিয়া জেলায় এসে তাঁত শিল্পের সাথে যুক্ত হয়েছেন। তবে এবার ভিন্ন জেলা থেকে আসা এক পরিযায়ী তাঁত শ্রমিকের মৃত্যু হল শান্তিপুরে।

    জানা যায়, কোচবিহার জেলার এক তাঁত শ্রমিকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতীর ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটে নদিয়া শান্তিপুর ফুলিয়া এলাকায়।জানা যায় মৃত শ্রমিকের নাম লক্ষণ সূত্রধর, বাড়ি কোচবিহার জেলায়। জানা যায় গতকাল সকালে ওই তাঁত শ্রমিক কোচবিহার থেকে শান্তিপুর ফুলিয়ার একটি বাড়িতে তাঁত বুনতে এসেছিল, এরপর খাওয়া-দাওয়া করে বিকেলে মদ্যপান করে ওই বাড়িতে ঢোকে। আবার রাত্রিকালীন খাওয়া-দাওয়া করে শুয়ে পড়ে ওই তাঁত শ্রমিক। মধ্যরাতে পরিবারের লোকজন লক্ষ্য করে তাঁত ঘরের পাশের একটি বারান্দায় ওই ব্যক্তি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে, ফোন করে শান্তিপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। বুধবার মৃতদেহটি উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ, এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। যদিও কোচবিহার জেলা থেকে শান্তিপুর ফুলিয়া এলাকায় তাঁত বুনতে এসে কেন ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হলো, তার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।উল্লেখ্য, সুতোর দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্ষতির মুখে শান্তিপুর তথা গোটা জেলার তাঁত শ্রমিকেরা। তারা জানান জুতোর দাম বৃদ্ধির ফলে সেই অর্থে মুনাফা অর্জন করা যাচ্ছে না। ফলে অধিকাংশ তাঁত শ্রমিকেরাই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এবং সেই কারণে একাধিক তার শ্রমিকেরাই মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত রয়েছেন। যদিও কোচবিহার থেকে আসা ওই তাঁত শ্রমিকের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।