রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি মহিলা! এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল চুঁচুড়ায়

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি মহিলা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল চুঁচুড়ায়। বস্তা নড়েচড়ে ওঠায় কৌতূহল বশতই টান মারেন স্থানীয়রা। তাতে দেখা যায়, বস্তার ভিতরে রয়েছেন এক বৃদ্ধা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এক পুলিশকর্মীর ছেলে। ফলে তড়িঘড়ি খবর পৌঁছয় থানায়। পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হুগলির  চুঁচুড়ার  প্রিয়নগর এলাকার ঘটনা। শনিবার রাতে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বৃদ্ধাকে । স্থানীয় সূত্রে খবর, জিটি রোডের ধারে পড়ে থাকা বস্তা দেখে সন্দেহ হয় সকলের। বস্তা ভরে কিছু ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় প্রথমে। কিন্তু বস্তা নড়ে উঠতে ভয় পেয়ে যান সকলে। কৌতূহলের বশে টান মারতেই দেখা যায়, ভিতরে রয়েছেন বয়স্ক, সাদাচুলের এক মহিলা।
শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া থানার মহিলা পুলিশ কর্মী রাখী ঘোষের ছেলে প্রদীপ্ত। তাঁর ফোন পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ এসে মহিলাকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধা নিজের নাম অন্নু কুমারী বলে জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিনি অশোকনগরের বাসিন্দা। তবে সেই দাবি আদৌ সঠিক কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বস্তা থেকে উদ্ধারের পর কেক কিনে খেতে দেওয়া হয় বৃদ্ধাকে। তার পর প্রদীপ্ত নিজের মাকে ফোন করে সব জানান। সেই সময় থানাতেই ডিউটি করছিলেন রাখী। তিনি বড়বাবুকে বিষয়টি জানান। তড়িঘড়ি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ পান। এর পর এক অফিসারের সঙ্গে রাখী এসে পৌঁছন। বৃদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বস্তার ভিতর থেকে বৃদ্ধাকে পাওয়া যাওয়ার খবরে রাতেই ঘটনাস্থলে ভিড় উপচে পড়ে। সেই সময়ও বস্তার ভিতর পা ঢুকিয়েই বসেছিলেন ওই বৃদ্ধা। নাম-ধাম জিজ্ঞাসা করলে, হিন্দিতে জানান, অশোক নগরে থাকেন বলে। কী ভাবে তিনি সেখানে এসে পৌঁছলেন, তাঁকে বস্তাবন্দিই বা করল কে, তা জানাতে পারেননি তিনি। বাড়িতে কে আছে জিজ্ঞেস করলে, তিনি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করেন বলেও জানা যায়। পুলিশের তরফে তাঁর পরিবারকে খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে।