|
---|
নবাব মল্লিক, নতুন গতি: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আসার আগে ভাবা হয়েছিল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সুন্দরবনের নদীবেষ্টিত এলাকায় ক্ষতি করবে। আম্ফান এলাকায় এল ক্ষতিও করল, কিন্তু ভাবনার থেকে বেশী ক্ষতচিহ্ন রেখে গেল। ঘূর্ণিঝড় আসার পর পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘী, কুলতলি সহ সমগ্র সুন্দরবনের নদীবেষ্টিত এলাকায় চিরস্থায়ী ক্ষত করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাধের সংখ্যা পূর্বতন আয়লা ঘূর্ণিঝড়ের থেকেও বেশি। ঝড় চলে যাওয়ার পাচদিন পরও এখনও সারানো হয়নি পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গা জেটিঘাটের পূর্ব দিকের নদীবাধ। ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রায় ১.৫ কিমি নদীবাধ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। প্রতিদিনই জোয়ারের সময় জল সেই ভাঙা অংশ দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করছে, কিন্তু সেই জল ভাটার সময় নেমে যাচ্ছে না। ফলে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে বিস্তির্ণ এলাকা, জোয়ারের সময় যখন গোটা গ্রামে জলমগ্ন তখন ভেঙে যাওয়া নদীবাধের অবশিষ্ট অংশে নীরব দর্শক হয়ে দাড়িয়ে থাকে গ্রামবাসীরা। নদীবাধ ভেঙে জল গ্রামে ঢোকায় নষ্ট হয়েছে চাষের জমি, মিষ্টি জলের পুকুর, মাছ। গ্রামের কিছুজন গ্রামের যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছেন, বাকিরা কোথায় চলে গিয়েছে তা গ্রামের অনেকেই জানেনা। গ্রামের অনেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন প্রশাসনের উপর গ্রামের এক বাসিন্দা মনোরঞ্জন দে জানান আয়লার সময় নদীবাধ করার কথা থাকলেও এখনও তা করা হয়নি, সেজন্য এবার গোটা বাধটাই ভেঙে পড়েছে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় যাওয়ার পর সমস্ত গাছের পাতা শুকনো হয়ে গিয়েছে। এই সমস্যা এখন গোটা সুন্দরবনের। দিন আসছে, যাচ্ছে কিন্তু সমস্যাগুলি আরও দিনের পর দিন প্রকট হচ্ছে, আর একরাশ হতাশা নিয়ে সুন্দরবন বাসী নতুন সূর্য দেখার আসায় বুক বাধছে।