আবারও ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হল সারমেয় শিশুদের

সেখ আব্দুল আজিম : এবার সিঙ্গুর থানার মাছ বাজারের সামনে নৃশংসভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হল ফুটফুটে তিনটি সারমেয় শাবককে। কি অপরাধ করেছিল ওরা? রাস্তার পাশে খেলছিল আপন মনে। সিসিটিভি ক্যামেরায় পরিস্কার দেখা যায় গাড়িটি ইচ্ছে করে রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা সারমেয় শাবকদের চাপা দেয়। গাড়ির নাম্বার ও গাড়িটিও দেখে মালিককে শনাক্ত করা হয়। স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠন এ্যানিমেল লাভার্স -এর সদ্যরা গাড়ির মালিকের কাছে যান কিন্তু এত বড় একটা অন্যায়ের পরেও কোনো অনুশোচনা তাদের ছিল না। উল্টে ওনারা পশুপ্রেমীদের টাকার প্রলোভন দেখান বলে অভিযোগ করেন পশুপ্রেমী অভিষেক ! কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় হুমকী দেয় বলে অভিযোগ।

    পরে সিঙ্গুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ এখনও মামলা রুজু করেনি বলে অভিযোগ যদিও সিঙ্গুর থানা থেকে জানানো হয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
    কিন্তু রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ কোনো অভিযোগ ও সিজার লিস্ট ছাড়া সারমেয়দের দেহ উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয় মানুষ বাধা দেন।
    আজ ২৩ জুন ২০২৪ সিঙ্গুর বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা করে।কিন্তু পুলিশ যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ব্যাবসায়ীরা দোকান খোলেন। তবে মিছিল করে ব্যবসায়ীরা থানায় গিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
    স্থানীয় ব্যবসায়ী অনিল দাস, বিশ্বনাথ ধাড়া, রাজীব গুপ্ত, সমীর মালিক, সুব্রত বারিকরা জানান এঅন্যায় মানা যায় না। আশ্রয় সদস্য পশুপ্রেমী অভিষেক ঘোষ বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ আমাদেরও অনুপ্রেরণা দিচ্ছে, যদিও দুপুর পর্যন্ত পুলিশ এফ আই আর করেনি।তবে সারমেয়গুলির দেহ সংরক্ষণ করেছে। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব।
    পশুপ্রেমী সংগঠন আশ্রয় ( হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন) -এর সম্পাদক এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন সিঙ্গুরের পশুহত্যার বিরুদ্ধে সর্বত্র অভিযোগ জানানো হবে। তবে পশু নির্যাতন ও পশুহত্যা বিরোধী আইন সংশোধন করা দরকার। ঐ আইনে দোষ প্রমান হলেও মাত্র পাঁচ বছরের সাজা হয়। অথচ সাত বছরের নীচে সাজা হয় এমন অপরাধে অভিযুক্ত সহজেই জামিন পেয়ে যায়। ফলে পশুকে হত্যা করলেও গ্রেফতার প্রায় হয়ই না, হলেও আদলত থেকে সহজেই অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যায়। আইন মন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন বিষয়টি খতিয়ে দেখে সাজা কঠোর করুন।