|
---|
বাইজিদ মণ্ডল,ডায়মন্ড হারবার : চারিদিকে শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠছে। এমনকি এমনও অভিযোগ রয়েছে পাকা বাড়ী থাকা সত্বেও আবারও দ্বিতীয় বার নতুন করে আবাস যোজনার বাড়ি নিতে দেখা গেছে। সে ক্ষেত্রে এবার এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার বিধান কেন্দ্রে। গত কয়েক বছরে র আগের তুলনায় এখন কিছুটা স্বচ্ছল,তাই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সরকারি ঘর ফিরিয়ে দিয়ে নজির তৈরি করলেন ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের বাসুল ডাঙ্গা পঞ্চায়েতের ১৭৯ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত সদস্য এনায়েত হোসেন মোল্লা (বাবলু)। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে ডায়মন্ড হারবার বাসুল ডাঙ্গা পঞ্চায়েত সদস্য হন। কিন্তু তার আর্থিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতিতো হয়ইনি। তবুও আবাস যোজনার ঘর ফিরিয়ে দিয়েছেন। সদস্য এনায়েত হোসেন তিনি বলেন পূর্বে আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার জন্য আবাস যোজনায় নাম তোলার জন্য আবেদন করেছিলাম,বর্তমানে আমার নাম আবাস যোজনার তালিকায় নাম নতিভুক্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে আমার এক পুত্রের একটি ভালো কাজের সুবাদে আর্থিক অবস্থা কিছুটা স্বচ্ছল হয়,এবং একটি পাকা বাড়ি বানাতে সক্ষম হই। সুতরাং আমি আমার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য ডা: হা: ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন অধিকরিকের কাছে আবেদন ও দরখাস্ত করেছি। কারণ আমাদের থেকেও এই বুথে গরীব মানুষ এলাকায় রয়েছে, সেই কারণে আমরা এই ঘর ফিরিয়ে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন আমি পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছি মানুষের কাজ করার জন্য। সেখানে আমিই যদি সরকারি সুবিধে নিই আর আমাদের থেকেও আর্থিক দিক থেকে দুর্বলরা পরিষেবা না পান, তাহলে কেমন হয়?।
চারিদিকে শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠছে। সেসময় ডায়মন্ড হারবার এ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এনায়েত হোসেন সুনাম গোটা পঞ্চায়েত এলাকাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার স্থানীয় বুথ সভাপতি মইদুল। সাঁপুই বলেন আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যর কোনও তুলনা হয় না, যখন ডাকি ওনাকে তখনই পাই। এই যুগে এমন পঞ্চায়েত সদস্য পাওয়া ভাগ্যের। নিজের পয়সা খরচ করে উনি মানুষের জন্য কাজ করেন। ডায়মন্ড হারবার বিধান সভার পর্যবেক্ষক সামীম আহমেদ বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য এনায়েত হোসেন আমাদের দলের সম্পদ। ওনার সততা ও সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রশ্নের অতীত, উনি আমাদেরও প্রেরনা। এভাবে মানুষের জন্য এনায়েত হোসেনের এই কাজের উদ্যোগকে প্রশংসা করেন তাঁর গ্রামের মানুষ তারা বলেন, আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু ও মানুষের কাজ করতে ভালবাসে। সেই কারণে এনায়েত হোসেন যখন মানুষের জন্য কাজ করে তখন আমাদের ভাল লাগে। ও এভাবেই মানুষের কাজ করুক এটাই চাই আমরা।