|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বিহারে নির্বাচনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল ভালো ফোন করার পরে আমার পাখির চোখ করেন বাংলাকে এর বড় কারন বাংলায় 30 শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু বাস করেন। বাংলায় বিভিন্ন ছোট বড় দল এক ছাতার তলায় লড়ার ডাক দিলেও ওয়াইসির একা লড়াই করার ডাক দিয়েছিল আগে থেকেই সেই পরিকল্পনা মাফিক রাজ্যজুড়ে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় শুরু হয় দলের ক্যাম্পেইনিং।
অপরদিকে ফুরফুরা শরীফ এর সংগঠন আহলে সুন্নাতুল জামাত এবং তার প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান তিনি দীর্ঘদিন থেকে বাংলায় দলিত সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি নিজে দল গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিভিন্ন জেলায় চল্লিশটা প্রার্থী দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল বিভিন্ন সভায় তার মুখে।এবং বিভিন্ন মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি বিরোধিতা করতে শোনা যায়।
শেষমেষ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আব্বাস সিদ্দিকী ও তার সংগঠন ফুরফুরা শরীফ আহলে সুন্নাতুল জামাত সরাসরি গাঁটছড়া বাঁধলো আসাদউদ্দিন ওয়াইসির পার্টি মীমের সঙ্গে, সেইসঙ্গে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী কে বাংলার রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করা হয় ঘোষণা করেন স্বয়ং মিম পার্টির সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েসি।
আজ ফুরফুরা শরীফে আসাদউদ্দিন ওয়েসি স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন সঙ্গে ছিলেন তার ভাই আকবর উদ্দিন ওয়াইসি ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সেখানে মিটিং করার পরে এই সিদ্ধান্ত হয়। মিটিংয়ে আগামী দিনের রাজনীতি রুপরেখা কেমন হবে সেই নিয়েও আলোচনা হয়।
আলোচনার পরে আব্বাস সিদ্দিকী এবং আসাদউদ্দিন ওয়েসি একসঙ্গে একটি প্রেস কনফারেন্স করেন এবং ঘোষণা করেন তাকে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। তিনি জানান যে খুব তাড়াতাড়ি আরও সক্রিয় কর্মসূচি শুরু করবেন রাজ্যজুড়ে আগামী বিধানসভা আগে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বাংলার রাজনৈতিক মহল এই সাক্ষাৎকার কে এবং মিমের আব্বাস সিদ্দিকী কে রাজ্য সভাপতি করার বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন এবং এর ফলে রাজ্যজুড়ে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ব্যাপকভাবে বিভাজিত হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কেউ কেউ বলছেন যে এটা বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি তে অনুঘটকের কাজ করবে বলাই বাহুল্য।