চাপড়ায় বিজেপির প্রাক্তন প্রার্থী কে টিকিট দিল আব্বাস সিদ্দিকীর ISF

চাপড়ায় বিজেপির প্রাক্তন প্রার্থী কে টিকিট দিল আব্বাস সিদ্দিকীর ISF

    নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক :  বঙ্গ রাজনীতিতে নয়া মুখ আব্বাস সিদ্দিকী। তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজে ব্রাহ্মণ্যবাদ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ থাকলেও, দক্ষিণবঙ্গে সংখ্যালঘুদের একাংশের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় তিনি। সেই জনপ্রিয়তাকে পাথেয় করে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন নতুন দল ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’ বা আইএসএফ । তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। বিজেপিকে প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তরুণ এই নেতার বিরুদ্ধে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সেই ছবি আরো স্পষ্ট হয়েছে বলে ধারণা অনেকের। প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন কয়েকজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা কর্মী।

    কিছুদিন পূর্বে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গে বৈঠকের পর ধারণা করা হচ্ছিল মীমের মুখ হয়েই বাংলায় নির্বাচনে লড়বেন আব্বাস সিদ্দিকী। কিন্তু মাঝ পথেই নাটকীয় পরিবর্তন, সিপিএম ও কংগ্রেস আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফকে জোটে নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। শেষমেষ বাম-হাতের অফার পেয়ে নিমের সঙ্গ ত্যাগ করেন এই নেতা। এবারের নির্বাচনে ২৬ টি বিধানসভা আসনের প্রার্থী দিচ্ছে আইএসএফ । কিন্তু প্রার্থী তালিকায় বিজেপির প্রাক্তন নেতাকর্মীদের অবস্থান, ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।নদীয়ার চাপড়া বিধানসভা আসনে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী কাঞ্চন মৈত্র। তিনি ২০০৬ সালে শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও সেবার তিনি ভোট পান মাত্র ৪০৩৮ টি। ওই আসনে ৯০ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের অজয় দে। প্রার্থী নিয়ে আরও কয়েকটি আসনে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

    পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটের সিংহভাগ এখন তৃণমূলের দখলে। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের কোন বিধানসভা আসনেই এগিয়ে নেই বামেরা। সেক্ষেত্রে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ যদি মুসলিম ভোট বিভাজনে সক্ষম হয়, তাহলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার ফসল ঘরে তুলবে বিজেপি; এমনটাই আশঙ্কা অনেকের। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভোট পরবর্তী বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নাচক করেননি ধর্মগুরু থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে পা দেওয়া আব্বাস সিদ্দিকী ।