সময়ের আগে পৌঁছে সহযোগীতার আশ্বাস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত সময়েই দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজির হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ঘড়ির কাঁটায় সকাল ঠিক ১১টায় দিল্লির খান মার্কেট এলাকায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দপ্তরে পৌঁছে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু নথিপত্র। ইডি অফিসে প্রবেশের মুখেই তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”তদন্তকারী সংস্থা ডেকেছে। সবারই উচিত, তদন্তে সহযোগিতা করা। আমিও সেটা করতেই এসেছি। বাকিটা ওঁরা করবেন। যা ঘটছে, সব দেখছেন দেশের মানুষ।”

    কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে সক্রিয়তা বাড়ানোর পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে তলব করে ইডি। ৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজই হাজিরা দেওয়ার দিন। সেই মর্মে অভিষেক এবং রুজিরাকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এই তলব মোটেই এড়াননি অভিষেক। বরং তদন্তে সহযোগিতা করতে আগেরদিনই উড়ে গিয়েছেন দিল্লি।

    রবিবার দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এ নিয়ে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। যদি কোথাও আমাকে অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণ করা যায়, তাহলে আবারও দায়িত্ব নিয়ে বলছি, রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি ভয় পাওয়ার লোক নই। আমাকে এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। কোনও ইডি, সিবিআই দরকার নেই। ফাঁসির মঞ্চ করে দিন। আমি সেই মঞ্চে উঠে যাব। ভিডিও ফুটেজে যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাদের ডাকা হচ্ছে না। মানুষ সব কিছুর বিচার করবেন।”

    এই কাণ্ডের তদন্তে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নরুলাকেও দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু ছোট সন্তানদের ছেড়ে তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া এখনই সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রুজিরাদেবী। আবেদনে তিনি জানান, কলকাতাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা। রুজিরাকে কীভাবে ইডি জেরা করবে, তা এখনও অজানা। তবে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডিকে সহযোগিতা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেরদিনই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন। অভিষেকের এই পদক্ষেপ নিয়ে দলের মুখপাত্র তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ”বুক চিতিয়ে ইডি দপ্তরে যাওয়াকে বাঘ বলে।”  এখন দেখার, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি ঠিক কোন পথ বেছে নেয়।