|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফর ঘিরে শুরু থেকেই চড়া আঁচ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আগরতলায় পৌঁছানোর আগেই দলের ফেস্টুন, ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার খোদ অভিষেকের সামনেই ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান উঠল। কালো পতাকা দেখানো হল ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের সামনে পাল্টা বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে ‘খেলা হবে’ ধ্বনি দেয় তৃণমূল সমর্থকরা।
মিশন ২০২৩-র লক্ষ্যে শুরু হবে তৃণমূলের সলতে পাকানোর কাজ। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে স্বাগত জানাতে রবিবার রাতেই বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় বেসরকারি হোটেল পর্যন্ত রাস্তা জোড়ে-ফুলের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু, সোমবার সকাল হতেই বিপত্তি। দেখৎা যায়, আগরতলায় তৃণমূলের সব ফেস্টুন, ফ্লেক্স, ব্যানার, হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, মাটিতে পড়ে রয়েছে সেগুলো। যাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, শাসক দল বিজেপির দুষ্কৃীতিরা এই কাজ করেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলায় রয়েছেন। ব্রাত্য বসু দলীয় ফ্লেক্স, পতাকা ছেঁড়ের ঘটনার নিন্দা করেন। বলেছেন, ‘বিজেপি ভয় পেয়েছে স্পষ্ট। কিন্তু এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। অভিষের ত্রিপুরায় পা রাখা মাত্রই যে উদ্দীপনা ও আবেগের সৃষ্টি হবে তা ঠেকানোর ক্ষমতা রাজ্যের শাসক দলের নেই।’
ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেছেন, ‘বিজেপি নক্কারজনক কাজ করেছে। কিন্তু এভাবে তৃণমূলকে দমানো যাবে না। আজ ভোর থেকেই দলের কর্মীরা আবারও ফ্লেক্স, হোডিং, ব্যানার লাগানোর কাজ চালু করে দিয়েছেন। বিজেপি ভয় পেয়েছে।’
সর্বভারতীয়স্তরে দলীয় সংগঠনের ক্ষমতা হাতে নিয়েই দলকে বাংলার বাইরে বিস্তারের কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিল্পব দেবের ত্রিপুরা দিয়েই সেই লক্ষ্যপূরণে তৎপর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় #EbarTripura ট্রেন্ডিং করেছে তৃণমূল। ফলে অভিষেকের এদিনের আগরতলা যাত্রা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ত্রিপুরায় পৌঁছেই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আগরতলার একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থানে সেরাজ্যের রাজনীতিতে নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারই প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ চন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক, পান্না দেব, মহম্মদ ইদ্রিশ মিয়া, প্রেমতোষ দেবনাথ, বিকাশ দাস, তপন দত্তর মতো হেভিওয়েট নেতারা যোগ দেন তৃণমূলে। আজও বেশ কয়েকজন বড় নেতৃত্ব জোড়া-ফুলে যোগ দিতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।