|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: চার মাস আগেই বানানো হয়েছিল বাঁধ। সমুদ্রের জল আটকাতে বানানো হয়েছিল দীর্ঘ ৭ কিমি সমুদ্র বাঁধ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে ভেসে গিয়েছে সেই বাঁধ। আর তার জেরেই ভয়ে ভয়ে রাত কাটাচ্ছে তাজপুরের জলধা গ্রামের বাসিন্দারা। এই জলধা গ্রাম এদিন পরিদর্শন করেন তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা পরিদর্শনের পরে অভিষেকের পূর্ব মেদিনীপুর সফর রাজনৈতিক ভাবেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। গত ২৫ তারিখ জলধা গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। ভেঙে বেরিয়ে যায় বাঁধের একের পর এক অংশ। সমুদ্র তটের পাশে রয়েছে এই সব গ্রাম। যে গ্রাম ভাঙা বাঁধের কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। দীঘায় মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও রাজ্য সেচ দফতর যৌথ উদ্যোগে সেই কাজ শুরু করে। সেই কাজের আগেই শুরু হয়েছিল গার্ডওয়াল দেওয়ার কাজ। ইয়াসের ফলে সেই বাঁধ সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে। জলধা গ্রামে অভিষেক পৌছনোর সাথে সাথে গ্রামবাসীরা তার সামনেই পাকা বাঁধের দাবিতে সরব হন। গ্রামের সমস্ত মহিলারা হাতে পোস্টার নিয়ে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। অভিষেক অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন তাদের। তিনি জানিয়েছেন, “মানুষের স্বার্থ বিপন্ন করে, মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে, মানুষের টাকা যারা নয়ছয় করেছে তাদের রেয়াত করা হবে না।” গ্রামবাসীরা এদিন সরব হয়েছেন বাঁধ নির্মাণ ঘিরে যে সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে।
অভিষেক এদিন জানিয়েছেন, “প্রশাসনকে দলের তরফে অনুরোধ করব আইনি ব্যবস্থা নিতে।” এদিন তাজপুরের প্রায় দীর্ঘ ৭ কিমি রাস্তা পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রাস্তার অবস্থা দেখে তিনি স্তম্ভিত বলে জানিয়েছেন। নিজেই জানিয়েছেন, দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কি রাস্তা বানিয়েছেন আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। এই রাস্তা নিয়ে অভিষেক কথা বলেন কাঁথির মহকুমাশাসকের সাথে। সেখানে কে এই রাস্তা বানিয়েছে সেই প্রশ্ন করতেও শোনা গেছে অভিষেককে। এদিন রাস্তা ও গ্রামের পরিস্থিতি দেখার পাশাপাশি অভিষেক যান আয়লা সেন্টারে। সেই শিবিরে যারা রয়েছেন তাদের সাথেও কথা বলেন তিনি। অভিষেক জানিয়েছেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে কোনও পদ লাগেনা। এদিন তাজপুরের মানুষের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি কথা বলেন। কিভাবে প্রশাসনিক সাহায্য মিলবে। তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।