|
---|
সংবাদদাতা : রাজ্য সরকার অনুমোদিত ২৩৫ টি আন-এডেড মাদ্রাসার মধ্যে বঞ্চিত ৮২ টি মাদ্রাসার বিল্ডিং ও ২৩৫ টি মাদ্রাসার ২৫০০ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাসিক বেতন কে সামনে রেখে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং নবান্ন অভিযানের পথে “ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকগনাইজড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন” শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত – আগামী ১ লা ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসতে চলেছে এই সংগঠন। আমরা দীর্ঘদিন থেকে দেখে আসছি বর্তমান রাজ্য সরকার তাঁর সরকার অনুমোদিত আন-এডেড মাদ্রাসা গুলির উপর অকথ্য অত্যাচার, অনাচার, শিক্ষিকা নিগ্রহের ছবি। এটাই দেখে আমরাও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি, কিন্তু সংবিধান কে সামনে রেখে আন্দোলন কারী মাদ্রাসা শিক্ষকদের মাদ্রাসা গুলি কে বেছে বেছে বিল্ডিং গ্রান্ট দেওয়া যাবে না, সেটা পশ্চিম বাংলার ইতিহাসে এক অকথ্য অত্যাচারের ছবি ফুটে উঠেছে । রাজ্য সরকার যে সংখ্যালঘুদের পাশে নেই এর চাইতে আর বড়ো প্রমাণ কি হতে পারে ? রাজ্য সরকার বিগত ৯ বৎসর যাবৎ সংখ্যালঘুদের শুধুই ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছেন, কিন্তু এই জাতিকে ক্রমাগত অন্ধকার গলিতে প্রবেশ করিয়েছেন। কখনো প্রকাশ্য তো কখনো অপ্রকাশ্য ভাবে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সেখ জাভেদ মিঁয়াদাদ বলেন …. রাজ্য সরকার আগামী ৩০ শেষ নভেম্বর ২০২০ সোমবারের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না করলে, আমরা ১ লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার ১১ টা নাগাদ বিধান মার্কেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বসবো এবং সেখানে কয়েক ঘণ্টা রাজ্য সরকারের সুবার্তার জন্য অপেক্ষা করার পর স্বদলবলে নবান্ন অভিযান করবো। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পলাশ রম বলেন- আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি – এই নৈতিক আন্দোলন কে রোখার জন্য রাজ্য প্রশাসন আমাদের বাধা দেবেন। কিন্তু আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে । আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি আজ ধংসের মুখে । আমরা চাই রাজ্য সরকার আমাদের দাবি পূরণ করুক অথবা আমাদের গুলি করে মেরে দিক। আমরা খালি হাতে আর বাড়ি ফিরতে চাই না। খালি হাতে বাড়ি ফেরার চাইতে মৃত্যু বরণ অধিক শ্রেয় বলে মনে করি।