আফ্রিকান প্যারট করলো সমস্যার সমাধান, জানালো আসল মালিকের নাম

ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য: উত্তরপ্রদেশের এই তোতাকাহিনি বলিউডের গল্প-উপন্যাসকেও হার মানায়। ঝামেলার সূত্রপাত একটি আফ্রিকান প্যারটকে নিয়ে। দুই মালিক হাজির হন স্থানীয় থানায়। পুলিশের কাছে উভয়ের দাবি, পাখিটি তাঁদের। থানায় উপস্থিত পুলিশকর্তারা ধন্দে পড়েন। কীভাবে সমস্যার সমাধান করবেন বুঝতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত পাখিই বাতলে দেয় তার প্রকৃত মালিক কে। যোগীরাজ্যের তোতাকাহিনির কথা জেনে সকলেই অবাক। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আগরার। আফ্রিকান প্যারটের দুই দাবিদার হলেন অজয়কুমার বর্মা ও মুনেন্দ্র জৈন। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে অজয়কে একটি আফ্রিকান প্যারট উপহার দেন মুনেন্দ্র। অজয়ের দাবি, গত চার বছর ধরে তাঁর বাড়িতে যত্নে রয়েছে পাখিটি। পাখির দেখভাল করে মেয়ে মুনমুন। অজয়ের আরও জানান, মুনেন্দ্র পাখিটির দেখভাল করতে পারছিল না বলেই তাঁকে দিয়েছিল। গত কয়েক বছরে যেটি তাঁদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছে। কিন্তু সম্প্রতি মুনেন্দ্র দাবি করে, তোতাপাখি তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হবে। চার বছর লালন পালনের পর আচমকা এই দাবি মানতে চাননি অজয় ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই অবস্থায় পুলিশে কাছে অভিযোগ করেন মুনেন্দ্র। যার পর পাখিটিকে ফেরত দেওয়ার জন্য অজয়কুমারকে বেশ কয়েক বার নোটিস পাঠায়েছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত থানায় হাজির হয় দুই পক্ষ। আনা হয় পাখিটিকে। পুলিশের সামনেই তুমুল বিবাদে জড়ান অজয় এবং মুনেন্দ্র। পাখির প্রকৃত মালিক কে, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না পুলিশকর্মীরা। তখনই সমস্যার সমাধান করে খোদ তোতা। কার্যত বাকি কাহিনি সে নিজে লেখে। মালিকানা নিয়ে বিবাদের মধ্যে কথা বলে ওঠে। হঠাৎই তোতাপাখিটি ডেকে ওঠে, ‘মুনমুন তুই কোথায়, মুনমুন তুই কোথায়’। এরপর পুলিশ কর্তাদের বিষয়টা বুঝতে বাকি থাকে না। অজয় যে মিথ্যে বলছিলেন না, মুনমুনই যে পাখির দেখভাল করে থাকে, তা স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে। সেই মতোই প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় পাখিটিকে।