13 বছর পরে নন্দীগ্রামের কথা এবার মনে পড়েছে, নন্দীগ্রামের সভায় ইঙ্গিতপূর্ন মন্তব্য শুভেন্দুর, দিলেন ভারত মাতা জয় স্লোগান

নতুন গতি ওয়েব ডেস্কঃ ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর রক্তস্নাত সূর্যোদয়ের ১৩ তম বর্ষ পূর্তিতে শহীদ স্মরণে নন্দীগ্রাম ভূমি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত গোকুলনগরের অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন বটে। তবে স্পষ্ট করে কিছু বললেন না কিন্তু তিনি মঞ্চ থেকে বলেন, যারা সংবাদ-মাধ্যমে লোকেরা, যারা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অপেক্ষা করে আছেন শুভেন্দু অধিকারী কি করবে, আমি বলব। সব বলব। হ্যাঁ আমি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজনীতির কথা বলব। আমার মত কি, পথ কি , আমার চলার পথ কোথায় স্বচ্ছন্দ, কোথায় গর্তে ভরা, কোথায় আমি হোঁচট খাব, কোন রাস্তা দিয়ে হাঁটলে আমি সহজে স্বাভাবিক হাঁটতে পারব , পায়ে হোঁচট খাব না সেটাতো রাজনৈতিক প্লাটফর্মে বলবো।এই প্লাটফর্মে আমি বলবো না। পবিত্র প্লাটফর্মে আমি রাজনীতি করি না। ভবিষ্যতেও করব না। আমি পরিষ্কার কথা বলে দিলাম।

     

    তিনি আরো বলেন, আমি নতুন লোক নয়, ২০০৩ সালের গল্প নতুন গল্প নয়, চেনা বামুনের পৈতা দরকার হয়না। আমি ক্ষমতার দম্ভে কোনদিন করিনি। আমি সেদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এই আন্দোলন শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলন নয়। এটা কোন ব্যাক্তি বিশেষের আন্দোলন নয়। এটা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন, সম্মিলিত শক্তির আন্দোলন এই কর্মসূচি নতুন কোনো কর্মসূচি নয়।গত 13 বছর ধরে এই কর্মসূচি চলছে। গত 13 বছর আপনারা কোথায় ছিলেন?13 বছর পরে নন্দীগ্রামের কথা এবার মনে পড়েছে, ভোটের আগে আসছেন ভোটের পরে আসবেন তো?

     

    আজকে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, বিধায়ক ফিরোজা বেগম, সংগ্রাম দোলুই ,সুকুমার দে, বনশ্রী মাইতি, আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি আবু তাহের, আশরাফুল তাল্লা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি সহ অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন ছিল শুভেন্দু অধিকারীর প্রেস্টিজ ফাইট কারণ বিকেল তিনটায় শুভেন্দু অধিকারী জনসভা থেকে ঢিল ছোড়ার দূরত্বে নন্দীগ্রাম হাজরা কাটায় তৃণমূলের দলীয় পতাকায় নন্দীগ্রামের নেতা শেখ সুফিয়ানের নেতৃত্বে জনসভা করবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,পূর্ণেন্দু বসু, সাংসদ দোলা, জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর মতন নেতৃত্বরা। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্যতম সংখ্যালঘু মুখ তথা নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিমকেই শুভেন্দু বধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বর্তমান রাজনৈতিক সমালোচকদের অভিমত। তবে তার আগেই সভায় অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ব্যাপক জনসমর্থন আদায় করে নিলেন। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর লোক আমরা দাদার অনুগামী পোস্টার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।