|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :মানুষ যে মানুষের জন্য। আবারো অসহায় একটি পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সমাজসেবী গৌতম গোস্বামী। সুদীর্ঘ ৩০ বছরেরও অধিক সময় ধরে অন্ধকারে থাকা মানুষের ঘরে তাঁর হাত ধরেই জ্বললো আলো।শিলিগুড়ি পুরনিগমের অন্তর্গত ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোগোমালি চয়নপাড়ার বাসিন্দা হলেন জীতেন সূত্রধর। তার দুই ছেলেমেয়ে তাপসী ও দীপঙ্কর। তারা দুই জনই মায়োপ্যাথি নামক বিরল রোগে আক্রান্ত। প্রথম দিকে তাদের হাত-পা কাঁপত। তবে দুর্ভাগ্যবশত গত ৫ বছর থেকে হাঁটার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছেন তারা। অভাব অনটনের সংসার। খুব অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছে বাড়ি পরিবারটি। তাদের বাড়ি কাঁচা, তার উপরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। জীতেনবাবু নিজেও একজন হাঁপানির রোগী, তার হাতও ভাঙা। আগে কাঠমিস্ত্রির পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু হাত ভেঙে যাওয়ার কারণে আগের মতো কাজ করতে পারছেন না। তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।পরিবারে চারজন সদস্য আছেন । তীব্র অর্থ সংকট এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর সেই অসহায় জিতেন পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌতম গোস্বামী। এতদিন সুত্রধর বাড়িতে জলতো কুপি আর হারিকেন ,সেই বাড়িতে আজ বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেল সমাজকর্মী গৌতম গোস্বামীর হাত ধরে। এছাড়া তিনি অসহায় পরিবারটির পাশে থাকার সব রকম ভাবে আশ্বাসও দিয়েছেন। শুধু বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েই থামেননি প্রত্যেক মাসে বিদ্যুতের বিলের খরচ পুরোটাই বহন করবেন তিনি জানিয়েছেন। পরিবারটি যাতে দুবেলা দুমুঠো ভালোভাবে খেতে পড়তে পারে সেই ব্যবস্থাও করলেন। প্রত্যেক মাসের বিদ্যুৎ বিলের পাশাপাশি এক বস্তা করে চালও পৌছে যাবে পরিবারটির কাছে এমনটাই জানিয়েছেন। গরমের হাত থেকে বাঁচতে বিদ্যুৎ সংযোগ করার পাশাপাশি ওই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বৈদ্যুতিক পাখাও।
গৌতম বাবু জানান এভাবেই থাকতে চান মানুষের পাশে। খবর পেয়েই তিনি ছুটে এসেছেন। সবটা শুনে তিনি তার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। বিদ্যুৎ এনে দিয়েছেন, খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। পরবর্তীতে জিতেন সূত্রধরের অসুস্থ ছেলে মেয়ের চিকিৎসাতেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।