তৃণমূলের সভার পর গোটা মাঠের আবর্জনা ঝাড়ু দিয়ে গঙ্গা জল দিয়ে সভাস্থল শুদ্ধিকরণ বিজেপির, সরগরম রাজনৈতিক মহল

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: একুশের নির্বাচনের দামামা বেজে উঠেছে। বিজেপি-তৃণমূল রাজনৈতিক তরজা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। দিনের পর দিন উত্তপ্ত হচ্ছে মালদার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এদিন তৃণমূলের জনসভার পর মাঠ নোংরা করে রাখা নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল-বিজেপি কোন্দল চরমে উঠেছে। তৃণমূলের জনসভার পরদিন গঙ্গাজল ছিটিয়ে মাঠের শুদ্ধিকরণ বিজেপির। অশিক্ষিত দল বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ভারতীয় জনতা পার্টি।

    বিজেপির নির্বাচনী কার্য়ালয়ের পাশেই হয়েছিল শাসকদলের জনসভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী। সভাশেষে রাত পোহাতেই সেই মাঠে ঝাড়ু হাতে হাজির বিজেপি নেতাকর্মীরা। প্রত্যেকের হাতে ঝাড়ু। গোটা মাঠের আবর্জনা ঝাড়ু দিয়ে সাফাই করাই নয়। গঙ্গাজল ছড়িয়ে মাঠ শুদ্ধ করলেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে বিজেপির গঙ্গাজল দিয়ে ওই মাঠসুদ্ধির ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল দলটাই অপবিত্র বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাই নিজেদের স্বার্থেই তারা মাঠ পবিত্র করলেন। যদিও বিষয়টিকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতারা। নির্বাচনের আগে ওই জনসভা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়েই তারা এমনটা করছে বলেও শাসকদলের দাবি।

    সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরি মাঠে ওই সভায় হাজির ছিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। প্রার্থী ঘোষনা না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে ওই নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। দীর্ঘদিনের বন্ধু তাজমুল হোসেনের জন্যই তিনি সভায় এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। সভায় জনসমাগম ছিল নজরকাড়া। বিজেপির অভিযোগ, জনসভার পর তৃণমূল মাঠ সাফাই করেনি। চারদিকে চায়ের কাপ, প্লাস্টিক, আবর্জনা পড়ে ছিল। মাঠের পাশেই রয়েছে তাদের নির্বাচনী কার্য়ালয়। সেখানে সারাদিন ধরেই কর্মীরা আসেন। প্রায় প্রতিদিন কর্মিসভাও হয়। কিন্তু সকাল গড়ালেও তৃণমূল মাঠ পরিস্কার করেনি। তাই তারাই মাঠে নামেন!

    হরিশ্চন্দ্রপুর ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল সভাপতি রূপেশ আগারওয়াল বলেন, “একুশের বিধানসভা ভোটের আগে একটা নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা এমন যে কার্যক্রমের পর নির্বাচনি কার্যালয়কে নোংরা করে রেখে গেছে। আজ আমরা সেই জায়গা পরিষ্কার করে গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করেছি।”তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে কাটমানির সরকারও বলেন এবং বলেন এই দলের প্রতিটি মেম্বার অপবিত্র। তাই তাদের স্পর্শে কার্যালয়টি অপবিত্র হয়ে গেছে। গঙ্গাজল ছিটিয়ে যেকোনো জিনিসের শুদ্ধিকরণ করা হয়। আমরাও তাই করেছি।

    হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেছেন, “এটা নাটক ছাড়া র কিছুনা। একটা জনসভা জনস্রোতে পরিণত হয়েছে, যেটা দেখে ওরা ভয় পেয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল-কংগ্রেস আসছে। কাল যতটুকু সম্ভব হয়েছে পরিষ্কার করা হয়েছে। আগামীকাল মানুষ কথা বলবে। জনগন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আছে। জনগন এই খেলা খেলবে।