দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও বাঙালির রাখি বন্ধন উৎসব পুরোনো ছন্দে ফেরাতে খুশি ক্রেতা থেকে বিক্রেতা উভয়েই

নিজস্ব সংবাদদাতা : গত দুবছর রাখি বন্ধন উৎসব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে হয়নি। ফলে এ বছর দুদিন রাখি বন্ধন উৎসব পালন করতে উৎসাহী নদিয়ার বিভিন্ন জায়গার তরুণ তরুণীরা। জানা যায় এ বছর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাখি পূর্ণিমা উৎসব হবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। সেই কারণেই রাখি পূর্ণিমার আগের দিন এবং রাখি পূর্ণিমার দিন সকালে শেষ মুহূর্তে রাখি কেনার ভিড় দেখা গেল মাজদিয়ার একাধিক ফুটপাতের রাখির স্টল গুলিতে। আবারও সেই চেনা মুখ, চেনা দোকানদার, চেনা স্টল। গত দু’বছর করোনা মহামারীর কারণে বাঙালির একাধিক প্রিয় উৎসব হারিয়ে গিয়েছিল তাদের জীবন থেকে। তবে এ বছর চিত্রটা বদলে গেছে। সেই কারণে ভ্রাতৃত্ববোধের অন্যতম উৎসব রাখি বন্ধনকে ঘিরে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মত। শুধু রাখির দোকানগুলিতেই নয়, ভিড় বাড়ছে সমস্ত মিষ্টির দোকানেও। রাখি পড়ানোর পরে রীতি অনুযায়ী মিষ্টিমুখ করান সকলেই। দোকানদারেরাও এই দুদিন ব্যস্ত মিষ্টি বানাতে ও বিক্রি করতে।দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও বাঙালির উৎসব পুরোনো ছন্দে ফেরাতে খুশি ক্রেতা থেকে বিক্রেতা উভয়েই। সূক্ষ্ম কারুকার্য করা প্রথাগত রাখি তো রয়েছেই এছাড়াও বর্তমানে পাওয়া যায় ছোটদের পছন্দসই হরেক রকম কার্টুনের চরিত্রের রাখি।আবার পরিবেশ সচেতনতার কথা মাথায় রাখতে অনেকেই রাখির দিন সকালে কিনে থাকেন টাটকা ফুল দিয়ে বানানো পরিবেশ বান্ধব রাখি। স্বাভাবিকভাবেই বলা যেতে পারে রাখি বন্ধন উৎসবের এই দুইদিন আনন্দে মেতে থাকবে আপামর বাঙালি। উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন।তিনি কলকাতা, ঢাকা, সিলেট থেকে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাই ও বোনকে আহবান করেছিলেন একতার প্রতীক হিসেবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করার জন্য। সেই থেকেই গোটা দেশ জুড়ে আজও পালন করা হয়ে থাকে একতার শ্রেষ্ঠ রাখি বন্ধন উৎসব।