আবার ও বাঘের আক্রমণে মৃত্যু কুলতলির দেউল বাড়ির মৎস্যজীবী বাসুদেব বৈদ্যের

বাবলু হাসান লস্কর, কুলতলী, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : বাসুদেব বৈদ্য, বিপ্লব নাইয়া ও বিশ্বজিৎ বৈদ্য তিন জন মিলে ক্যানিং সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বৈধ পাশ নিয়ে গত ১৯\০১\২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে কুলতলীর দেউলবাড়ী গ্রাম থেকে দুই সঙ্গী বিপ্লব নাইয়া ও বিশ্বজিৎ বৈদ্য কে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের রিজার্ভ ফরেস্টে মেছুয়া জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যায়। বেশ কয়েকদিন কাঁকড়া ধরার পর গত ইংরেজি ২৩.১.২০২৩ সোমবার আনুমানিক সন্ধ্যাকালীন নৌকায় বসে কাঁকড়া ধরার মুহূর্তে পাশে থাকা জঙ্গল থেকে পূর্ণবয়স্ক একটি বাঘ নৌকার উপরে থাকা বাসুদেব বৈদ্যের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে নিয়ে জঙ্গলে পথে যাওয়ার সময় সাথে থাকা দুই সঙ্গী বিপ্লব নাইয়া ও বিশ্বজিৎ বৈদ্যের অসীম সাহসীকতায় বাঘের মুখ থেকে বাসুদেব বৈদ্য কে ছাড়িয়ে নিয়ে নৌকায় আনে। দীর্ঘ সময় ধরে রক্তখরণ,বাঘে ধরার খবর অন্য মৎস্যজীবীদের কাছে জানালে তড়িঘড়ি দেউলবাড়ি নাইয়া পাড়া থেকে মেশিন নৌকা নিয়ে গিয়ে বাসুদেব বৈদ্যর দেহটি নিয়ে আসে। এই খবর চাউর হতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া তড়িঘড়ি দেহটি নিয়ে আসে কুলতলির জয়নগর কুলতলী গ্রামীণ হাসপাতালে। ডাক্তার বাবু দেহ দেখার পর মৃত ঘোষণা করায় নিয়ে যাওয়া হয় কুলতলী আইসি থানায় এবং থানার পক্ষ থেকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে পরিবারের নেমে এসেছে শোকের ছায়া।বাসুদেবের দুই পুত্র অভিজিৎ বৈদ্য ১০ ইন্দ্রজিৎ ৮ চলত তাদের সুখের সংসার। একমাত্র রোজগেরে ছেলে বাসুদেব বৈদ্য জঙ্গলের ওপর তার জীবিকা নির্বাহ হতো। বিগত দিন গুলো তে মাছ কাঁকড়া মধু সংগ্রহ করে সংসার চালাতো। সংসারে অভাব অনটন আসায় তাতেই যেতে হয় জঙ্গলে স্বামী স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তানের সংসারে বেশ ভালই কেটে যাচ্ছিল বাসুদেবের। আর তার পরবর্তী মুহূর্তে ছন্দপতন। বিশেষ করে পুরুষানুক ক্রমে জলে জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া শিকার করে যাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়ার পর আজ এই করুন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কালাপাতের আজ এই মুহূর্তে তাদের সংসারের একমাত্র রোজগেরে চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম কিভাবে এই সমস্ত পরিবারের সন্তান সন্ততিদের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের ভরণ পোষণ ব্যবস্থা কেবা যোগাবে, কেমন ভাবে এমন পরিবারের লোকজন বেঁচে থাকবে।