|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: খবরের শিরোনামে সব সময় থাকেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার তেমনি এক পাগড়ি খুলা নিয়ে বিতর্ক মন্তব্য করলেন কথায় বলে, ‘স্বভাব যায় না ম’লে’। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও তেমন দশা। রাজ্যে পদ্ম শিবিরের প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে উসকানিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন। শনিবার ফের একবার মুসলিমদের ধর্মীয় আচরণের অন্যতম অঙ্গ ফেজ টুপির বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে দিলেন ধর্মের বিষ ছড়ানোর অন্যতম হোতা।
নবান্ন মিছিলে থাকা এক শিখের পাগড়ি খোলা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক নিয়ে নিজের অমৃত বচন শোনাতে গিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে দিলীপ বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ একজন শিখের পাগড়ি টেনে খুলে দিয়েছে, গোল টুপি হলে পারত না।’ বঙ্গ বিজেপি সভাপতির এমন কদর্য মন্তব্যের পিছনে যে রাজ্যে আড়াআড়ি ধর্মীয় বিভাজনের নোংরা রাজনীতি কাজ করেছে, তা সম্পর্কে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
গত বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও হয়েছিলেন বলবিন্দর সিং নামে এক গেরুয়া সমর্থক। পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে ধস্তাধস্তির সময়ে ওই ব্যক্তির পাগড়ি খুলে গিয়েছিল। কিন্তু ওই ঘটনাকে ‘বিকৃতভাবে’ তুলে ধরে গত দু’দিন ধরে ধর্মীয় বিষ ছড়ানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। দিল্লিতে সাম্প্রতিক হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিদ্ধ নেতারা বাংলার শিখ ধর্মাবলম্বীদের তৃণমূলের বিরুদ্ধে উসকে দিতে লাগাতার মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে।
বলবিন্দর সিংয়ের মতো এক অভিযুক্তকে আড়াল করতে তাঁর পাগড়ি টেনে খুলে দেওয়ার তত্ত্বকে হাতিয়ার করে বিজেপি যে বঙ্গের রাজনীতিতে ধর্মের বিষ ছড়ানোর চেষ্টা চালাবে, তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এ দিন বর্ধমান গিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বলবিন্দর সিংকে পুলিশ কেস দিয়েছে। শুধু তাই নয় একজন শিখ হওয়া সত্ত্বেও তার পাগড়ি খুলে অসম্মান করেছে। নিগ্রহ করেছে। গোল টুপি মাথায় থাকলে এটা পারত না। হাওড়ায় লাথি খেয়েও পুলিশ কিছু করেনি। যারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত, তাদের লাথি খেয়েও শান্তি মিছিল করেছে পুলিশ। আমরা আইন মানি বলেই এসব হচ্ছে।’
নবান্ন অভিযানে গেরুয়া কর্মী-সমর্থকদের গুন্ডাগিরিকে আড়াল করতে পুলিশকে ফের কাঠগড়ায় নলেছেন দিলীপ ঘোষ। পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘নবান্ন অভিযানে বিজেপি কর্মীরা মার খেয়েছেন, লাঠি খেয়েছেন। উলটে তাদের মামলা দেওয়া হয়েছে।’ রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই চলবে বলেও হুংকার ছুড়েছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি।