আরো একবার GKCIET এর ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ আন্দোলনের তীব্র আকার নিল

মো: নাজমুস সাহাদাত,নতুন গতি :

    GKCIET যার পুরো নামটার সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে মালদার রূপকার তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গনি খান চৌধুরীর নাম এবং আবেগ। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মালদার মত পিছিয়ে পড়া জেলাকে বিশ্বের দরবারে কারিগরি শিক্ষার দ্বারা ফুটিয়ে তোলবার উদ্দেশ্যে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছিল GKCIET নামের এই কারিগরি শিক্ষা প্রতষ্ঠানটি। এই সরকারি শিক্ষা প্রতষ্ঠানটির উদ্বোধনে খোদ এসেছিলেন ভারতবর্ষের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ও বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তারপর গড়িয়ে গেছে বহুজল, কেন্দ্র সরকারের পরিবর্তন ঘটেছে। এসেছে আরেক স্কিল ডেভেলপমেন্ট দ্বারা ভারতবর্ষকে উন্নত করার কথা বলার সরকার। কিন্তু এই কলেজটির কোনো উন্নতি আর হয়ে ওঠেনি।

    উন্নতি বলতে শুধুই যে যান্ত্রিক বিল্ডিং চাকচিক্য ক্যাম্পাস নই বরং সঠিক পরিকাঠামো এবং বৈধ সার্টিফিকেটটাই আসল এটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে এখানকার ছাত্রছাত্রীরা। এবং বৈধ সার্টিফিকেট এর দাবিতে 2016সাল থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গত আগস্ট মাস থেকে যার চরমতম পর্যায় এসে ঠেকেছে এবং আগস্টের 8 তারিখ থেকে অক্টোবরের 13 তারিখ পর্যন্ত প্রায় 70দিন কলকাতার রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভ, পথসভা, মিছিল, বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে ডেপুটেশন সহ আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে।

    আন্দোলনের দাবির সমর্থনে কেন্দ্রীয় সরকার একটি গেজেট নোটিফিকেশন বের করে সার্টিফিকেট টা বৈধ বলে ঘোষণা করলেও এখনও বহুজায়গায় এই সার্টিফিকেট টি সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এবং ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সময় বিভিন্ন হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এবং আন্দোলনের দ্বিতীয় দাবি হিসাবে মডুলার প্যাটার্নের যে নিয়ম অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের 6বছরের একটি 2+2+2 মডিউলের যে কোর্স করানোর কথা বলে ভর্তি নেওয়া হযেছিল সেটাও নেওয়ার নিশ্চয়তা তেমনভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ দিচ্ছেনা। গেজেটে উল্লিখিত 2+2+2 মডিউলের যে উল্লেখ করা হয়েছে তার নিয়ম অনুযায়ী 5 টা ট্রেডের মধ্যে 3টা ট্রেডের ভর্তি নিবে বলে যে একটি নোটিশ কলেজ কর্তৃপক্ষ জারি করেছিল সেই অনুযায়ী গত বছর থেকে একই দাবিতে আশ্বাস পাপ্ত বসে থাকা ছাত্রছাত্রীরাও নতুনভাবে এই নোটিশে খুশি হয়েই পড়াশুনা শুরুর উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে বইপত্র সিলেবাসের খবর নিতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিস দিয়ে তাদের আটকে দিচ্ছে এবং ভর্তির সময় সূচী জানার দাবিতে গতবছর ধরে ভর্তির আশায় থাকা ছাত্র সাইন জাহেদী আজ কলেজে ডিরেক্টরের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি নিয়ে ক্যাম্পাসে গেলে ডিরেক্টর অফিসে তার চিঠি জকা নেয়নি বরং পুলিস দিয়ে হেনস্থা করিয়েছে এবং কলেজের সিকুরিটি ইনচার্জ উত্তম ঘোষ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং পরবর্তীতে কলেজ ক্যাম্পাসে না আসি এমন হুমকিও দেই।

    এর ফলে GKCIET এর ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরে মাঝে আলোচনায় বসার প্রক্রিয়াকে আরো একবার নাকচ করে জোর আন্দোলনকে উস্কে দিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ এই সংস্থার কর্তৃপক্ষ। এবং এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আরো একবার ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু হয়েছে। বর্তমান পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের আশঙ্খা যে পরবর্তীতে তাদেরও হয়ত কর্তৃপক্ষ ভর্তি না নিয়েই এভাবে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দেবে এই পুলিশের মদতে। ছাত্রছাত্রীদের আরো ক্ষোভ যে একটি ক্যাম্পাসে সেখানকারই ছাত্রছাত্রীদের কেনো ঢুকতে দেবেনা ??বন্দুক ধারি পুলিশেরই ক্যাম্পাসে কি কাজ?? এর বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা আরো একবার আন্দোলনেরই পথে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের আগুনে কেরোসিন দিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেই বলে জানাই গনিখান কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ।